মহাকাশে কীভাবে স্যাটেলাইট ধ্বংস করল ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র, দেখুন ভিডিয়ো
আর তার পরই দেশজুড়ে আলোচনা শুরু হয়েছে মিশন শক্তি নিয়ে। অ্যান্টি স্যাটেলাইন ক্ষেপণাস্ত্র এ-স্যাট দিয়ে কীভাবে উপগ্রহ ধ্বংস করা যাবে, সেই প্রশ্নই এখন জানতে চাইছে সকলে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: মহাকাশে মহাশক্তিধর হল ভারত। দেশের উপর নজরদারি করছে এমন স্যাটেলাইট ধ্বংস করার ক্ষমতা চলে এল ভারতের হাতে। বুধবার বেলা ১২টা নাগাদ জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়ে এই ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
আরও পড়ুন: ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে মহাকাশে উপগ্রহ ধ্বংস করল ভারত, ঘোষণা মোদীর
আর তার পরই দেশজুড়ে আলোচনা শুরু হয়েছে মিশন শক্তি নিয়ে। অ্যান্টি স্যাটেলাইন ক্ষেপণাস্ত্র এ-স্যাট দিয়ে কীভাবে উপগ্রহ ধ্বংস করা যাবে, সেই প্রশ্নই এখন জানতে চাইছে সকলে।
এই প্রেক্ষিতেই একটি ভিডিয়ো সামনে এসেছে। ভিডিয়োটি সামনে এনেছে সংবাদসংস্থা এএনআই। গ্রাফিক্যাল প্রেজেন্টেশন দিয়ে ওই সংবাদসংস্থা দেখিয়েছে কীভাবে ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করবে স্পাই-স্যাটেলাইট।
#WATCH Simulation of the #ASAT BMD interceptor missile (video courtesy: Defence sources) #MissionShakti pic.twitter.com/U5Bot6tFx3
— ANI (@ANI) March 27, 2019
প্রসঙ্গত, এই ক্ষমতা অর্জনের ফলে মহাকাশের লড়াইয়ে বিশ্বের চার নম্বর দেশের জায়গা পেল ভারত। এখনও পর্যন্ত এই ধরনের মিসাইল ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও চিনের হাতে।
এদিন জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী মোদী জানিয়েছেন, ডিআরডিও-র বিজ্ঞানীদের এই অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে মিশন শক্তি। ইসরোর সঙ্গে সহযোগিতায় মাত্র তিন মিনিটেই এই অভিযানকে সফল করেছেন বিজ্ঞানীরা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাই মিশন শক্তির সঙ্গে যে সমস্ত বিজ্ঞানী ও অন্য আধিকারিকরা যুক্ত ছিলেন তাঁদের প্রত্যেককে ধন্যবাদ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: মহাকাশেও এখন মহাশক্তিধর ভারত, জানুন ASAT ক্ষেপণাস্ত্র সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
তবে এই অভিযানের জন্য কোনও আন্তর্জাতিক নিয়ম ভাঙা হয়নি বলে স্পষ্ট করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ভারতের নিরাপত্তার জন্য এই কাজ খুব জরুরি ছিল। ভারত শান্তিতে বিশ্বাসী। যুদ্ধে বিশ্বাস করে না। কোনও দেশকে আঘাত করাও ভারতের উদ্দেশ্য নয়।
মোদীর বক্তব্য, "আমাদের লক্ষ্য ভবিষ্যতের জন্য আমাদের দেশের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা। প্রত্যেক ভারতীয় যাতে নিজেকে নিরাপদ মনে করেন, সেই পরিস্থিতি তৈরি করাই আমাদের লক্ষ্য। আমরা চাই নিরাপদ ভারত তৈরি করতে।