শীত অধিবেশনে উঠতে পারে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল, তোলপাড় হওয়ার আশঙ্কা সংসদে
গত অধিবেশনে তোলপাড় হয় সংসদ। সেবার জম্মু ও কাশ্মীর থেকে বিলোপ করা হয় ৩৭০ ধারা। এবার ফের তোলপাড়ের সম্ভাবনা রয়েছে সংসদে। উঠতে পারে সিটিজেন্সশিপ অ্যামেন্ডমেন্ট বিল বা নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল।
নিজস্ব প্রতিবেদন: গত অধিবেশনে তোলপাড় হয় সংসদ। সেবার জম্মু ও কাশ্মীর থেকে বিলোপ করা হয় ৩৭০ ধারা। এবার ফের তোলপাড়ের সম্ভাবনা রয়েছে সংসদে। উঠতে পারে সিটিজেন্সশিপ অ্যামেন্ডমেন্ট বিল বা নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল।
আরও পড়ুন-শীত অধিবেশনের আগে এনডিএর ডাকা বৈঠকে যোগ দেবে না শিবসেনা
সংবাদ সংস্থার খবর অনুযায়ী এবার শীত অধিবেশনে সরকারের আলোচনার তালিকায় রয়েছে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল। কংগ্রেস নাগরিকপঞ্জী নিয়ে নরম মনোভাব দেখালেও নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে তোলপাড় করতে পারে কংগ্রেস-সহ বিরোধীরা। প্রতিবাদ উঠতে পারে অসম থেকেও।
উল্লেখ্য, এর আগেও বিলটি সংসদে তুলেছিল এনডিএ। কিন্তু বিরোধীদের প্রবল প্রতিবাদে তা পাস হতে পারেনি। বিরোধীদের অভিযোগ ছিল, ধর্মীয় পরিচয়কে হাতিয়ার করে বিদেশি নাগরিকদের নাগরিকত্ব দিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
কী আছে ওই বিলে? মোদী সরকারের পরিকল্পনা হল বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্থানের হিন্দু, জৈন, খ্রিষ্টান, শিখ, বৌদ্ধ ও পার্সিরা যদি ওইসব দেশ থেকে এসে ভারতে আশ্রয় নেন তাহলে তাঁরা এদেশের নাগরিকত্ব পাবেন। তবে তাদের এদেশে থাকতে হবে টানা ৬ বছর। এনিয়েই এখন আপত্তি বিভিন্ন দলের।
আরও পড়ুন-পূর্ব মেদিনীপুরের খালে বেঘোরে মৃত্যু ডলফিনের, প্রশ্নের মুখে বনদফতরের ভূমিকা
প্রসঙ্গত, নাগরিকপঞ্জীতে বাদ পড়েছেন ১৯ লাখ মানুষ। এর উদ্দেশ্য ছিল অসমে বসবাসকারী অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করা। কিন্তু বাদ পড়েছেন অধিকাংশ হিন্দু। এতেই তোলপাড় শুরু হয়েছে অসমে। এখন এই সংশোধনী বিল পাস হলে ওইসব বাংলাদেশি হিন্দুরা এদেশে নাগরিকত্ব পেয়ে যাবেন। পাশাপাশি সেই সুযোগ পাবেন বহু বিদেশিও। বিভিন্ন মহলের আপত্তি এখানেই।