ক্যাপ্টেন সৌরভ কালিয়া হত্যা মামলায় ইউ টার্ন কেন্দ্রের, আইসিজি-তে আবেদনের সম্ভাবনা আছে, জানালেন সুষমা

ক্যাপ্টেন সৌরভ কালিয়া হত্যা প্রসঙ্গে একেবারে ইউ টার্ন নিল মোদী সরকার। জানান হল সুপ্রিম কোর্ট অনুমতি দিলে এই প্রসঙ্গ ইন্টারন্যাশনল কোর্ট অফ জাস্টিসে তুলতে প্রস্তুত কেন্দ্র।

Updated By: Jun 2, 2015, 09:50 AM IST
ক্যাপ্টেন সৌরভ কালিয়া হত্যা মামলায় ইউ টার্ন কেন্দ্রের, আইসিজি-তে আবেদনের সম্ভাবনা আছে, জানালেন সুষমা

নয়া দিল্লি: ক্যাপ্টেন সৌরভ কালিয়া হত্যা প্রসঙ্গে একেবারে ইউ টার্ন নিল মোদী সরকার। জানান হল সুপ্রিম কোর্ট অনুমতি দিলে এই প্রসঙ্গ ইন্টারন্যাশনল কোর্ট অফ জাস্টিসে তুলতে প্রস্তুত কেন্দ্র।

কেন্দ্রীয় বিদেশ মন্ত্রী সুষমা স্বরাজ জানিয়েছেন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আইসিজি-তে মামলা করতে প্রস্তুত কেন্দ্র। প্রয়োজন শুধু শীর্ষ আদালতের অনুমতি। তিনি বলেছেন ''সৌরভ কালিয়ার মামলা একটি ব্যতিক্রমী পরিস্থিতি। তাই সুপ্রিম কোর্টের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে।''

''কোনও যুদ্ধ সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে ভারত-পাকিস্তানের পরস্পরের বিরুদ্ধে ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অফ জাস্টিসে আবেদন করার উপায় আছে।'' জানিয়েছেন বিদেশ মন্ত্রী।  

সুষমার দাবি এর আগে কেন্দ্রের সব সরকারই নাকি বলে এসেছে ইসিজি-তে ভারত ও পাকিস্তান নাকি পরস্পরের বিরুদ্ধে আবেদন জানাতে পারবে না। কারণ এই দুই দেশই কমনওয়েলথ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির অন্তর্ভুক্ত।

এর আগে জানা গিয়েছিল যে কার্গিল যুদ্ধের শহীদ ক্যাপ্টেন সৌরভ কালিয়ার জন্য ইন্টারন্যাশনল কোর্ট অফ জাস্টিসের শরণাপন্ন হচ্ছে না ভারত সরকার। এই সিদ্ধান্তের জন্য প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের তীব্র সমালোচনার মুখে পড়তে হয় মোদী সরকারকে। যুদ্ধের সময় পাক সেনার হাতে ধরা পড়েন ক্যাপ্টেন সৌরভ কালিয়া। অকথ্য অত্যাচারের পর তাঁকে খুন করা হয়। কংগ্রেসের দাবি করে, এই হত্যা মামলা ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অফ জাস্টিসে না নিয়ে গিয়ে ক্যাপ্টেন কালিয়াকে অসম্মান করেছে বিজেপি।

''সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্র সরকারকে শহীদ সৌরভ কালিয়ার হত্যা মামলা ইন্টারন্যাশনল কোর্ট অফ জাস্টিস-(ICJ) এ নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। এক বছরের বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় থেকেও এ বিষয়ে কিছুই করেনি বিজেপি সরকার। এখন তারা জানিয়েছে যে তারা মোটেও এই হত্যা মামলা নিয়ে ICJ-তে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আবেদন করবে না। এটি এক কথায় শহীদকে অসম্মান করা।'' সংবাদসংস্থা এএনআই-কে জানিয়েছিলেন কংগ্রেস নেতা পিএল পুনিয়া।

এর সঙ্গেই তিনি যোগ করেছেন ''এই সরকার পাকিস্তানকে আড়াল করার চেষ্টা করছে। অত্যন্ত নিন্দনীয় পদক্ষেপ এটি। আমরা সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মানার দাবি জানাচ্ছি। দাবি করছি এই বিষয়টি যাতে আইসিজে-তে অবিলম্বে তোলা হোয়।

অন্যদিকে, কেন্দ্র সরকার জানিয়েছে এই বিষয়টি নিয়ে আসিজি-এর দরবার করা সম্ভব নয়।

১৯৯৯ সালে কার্গিল যুদ্ধের সময় আরও ৫ সেনার সঙ্গে ক্যাপ্টেন কালিয়াকে বন্দী করে পাক সেনা। ওই বছরে ৯ জুন তাঁদের মৃতদেহ যখন ভারতের হাতে ফিরিয়ে দেওয়া হয় তখন তাঁর শরীরে অকথ্য অত্যাচারের চিহ্ন সুস্পষ্ট ছিল।

এই ঘটনার পর সারা দেশ ক্ষোভে ফেটে পড়ে।  যুদ্ধবন্দীদের উপর অত্যাচার জেনেভা কনভেশনের বিরোধী।

যদিও, ভারতীয় সেনাদের উপর অত্যাচারের সব অভিযোগই অস্বীকার করেছে পাকিস্তান। তাদের দাবি সেনারা সম্ভবত বাজে আবহাওয়ার কারণেই মারা গিয়েছিলেন।

 

.