সেনা বাহিনীকে দিয়ে কি এবার গর্তও বোজানো হবে? এলফিনস্টোন নিয়ে কটাক্ষ
সংবাদদাতা : এলফিনস্টোনে দুর্ঘটনার পর এবার নতুন করে ফুট ওভারব্রিজ তৈরি করা হবে। নতুন ফুট ওভারব্রিজ তৈরিতে সাহায্য নেওয়া হবে সেনা বাহিনীর। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী নির্মলা সিতারামন, রেলমন্ত্রী পিযুষ গোয়েল এবং মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীশ ওই ঘোষণা করেন।
মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, খুব কম সময়ের মধ্যে এলফিনস্টোনে নতুন করে ফুট ওভারব্রিজ তৈরির কাজ শেষ করা হবে বলে সেনা বাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে। ফলে এলফিনস্টোন রোড স্টেশনে নতুন করে ফুট ওভারব্রিজ তৈরিতে সেনার সাহায্য নিয়ে শিগগিরই কাজ শেষ করা হবে।
আরও পড়ুন : মুম্বইয়ের এলফিনস্টোনে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা
তবে সেনা বাহিনীকে ফুট ওভারব্রিজ তৈরির কাজে লাগানোর সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন অনেকেই। সেনাকে যাতে অসামরিক কাজে লাগানো না হয়, তার জন্য অনুরোধ করেছেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দ্র সিং।
The @adgpi job is to train for war, not to be used for civilian works @nsitharaman ji. Don’t divert defence resources to civilian jobs(1/2).
— Capt.Amarinder Singh (@capt_amarinder) October 31, 2017
The army was to be a measure of last resort to be called upon in extreme emergency. Now it seems like it’s the 1st number on the speed dial. https://t.co/9e9hJOgDTY
— Omar Abdullah (@OmarAbdullah) October 31, 2017
Calling Army to make a bridge in Mumbai underlines failure of Corrupt #ShivSenaBJP ruled #BMC.Hope army wl not b asked to fill potholes here https://t.co/BKj5nwoCBH
— Sanjay Nirupam (@sanjaynirupam) October 31, 2017
জম্মু কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাও বিষয়টি নিয়ে টুইট করেন। শুধু তাই নয়, সেনা বাহিনীকে কি এবার গর্ত বোজানোর কাজেও ব্যবহার করা হবে বলেও প্রশ্ন তোলেন কংগ্রেস নেতা সঞ্জয় নিরূপম।
প্রসঙ্গত, গত মাসে মুম্বইয়ের পারেলের এলফিনস্টেন স্টেশনের কাছে এক ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান কমপক্ষে ২৩ জন। আহত জন ৩০। গত ২৯ সেপ্টেম্বর এক নাগাড়ে বৃষ্টি হওয়ার বহু মানুষ এলফিনস্টোনের ওই ব্রিজে আশ্রয় নিয়েছিলেন। লোয়ার পারেল ও এলফিনস্টোন স্টেশনের মাঝে প্রচুর মানুষ জমা হন। ওই মাঝামাঝি জায়গাতেই ছিল ওই ফুট ওভার ব্রিজ। এর মধ্যেই এলফিনস্টোন স্টেশনে ৪টি ট্রেন চলে আসে। ফলে ভিড়ের চাপ বিপুল বেড়ে যায়। রটে যায় শর্ট সার্কিট হয়েছে। এরপরই লোকজন আতঙ্কে দৌড়াদৌড়ি করতে শুরু করে দেন বহু মানুষ। তার জেরেই দুর্ঘটনা হয় বলে জানা অনুমান করা হয়।