Manipur Violence: বিভীষিকার মণিপুর! স্বাধীনতা সংগ্রামীর বৃদ্ধা স্ত্রীকে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা হামলাকারীদের
Manipur Violence: ঘটনার কথা বলত গিয়ে প্রেমকান্তার পরিবারের আর এক সদস্যা এস সমপাকসানা সংবাদমাধ্যমে বলেন, ঘর থেকে পালিয়ে আমরা স্থানীয় বিধায়কের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলাম। রাত দুটো দশ নাগাদ গোলাগুলি শুরু হয়েছিল। দিদা আমাদের বলল পালাতে। আমরা প্রাণপনে দৌড়লাম। পেছনে তখন গোলগুলির শব্দ
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মণিপুরের দুই মহিলাকে ধর্ষণ ও নগ্ন করে ঘোরানোর ভিডিয়ো যেন হিমশৈল্যের উপরের অংশ মাত্র। দিন যত এগোচ্ছে ততই বেরিয়ে আসছে একের পর এক নৃশংস হত্যাকাণ্ডের কাহিনী। মেইতেই-কুকি সংঘর্ষের শিকার এবার এক স্বাধীনতা সংগ্রামীর বৃদ্ধ স্ত্রী। আশি বছরের ওই বৃদ্ধকে ঘরে তালা দিয়ে পুড়িয়ে মারল হামলাকারীরা। মণিপুরের কাকচিং জেলার সেরউ গ্রামের ঘটনা। সেরউ থানায় এনিয়ে এফআইআর হওয়ার পর ঘটনাটি প্রকাশ্যে এসেছে।
আরও পড়ুন-তরুণীকে অপহরণ করে অস্ত্রধারী যুবকদের হাতে তুলে দিল মহিলা সংগঠন, তারপর.....
ওই বৃদ্ধার স্বামী এস চূড়াচন্দ্র সিং ছিলেন স্বাধীনতা সংগ্রাম। মারা গিয়েছেন ৮০ বছর বয়সে। রাষ্ট্রপতি এ পি জে আব্দুল কালাম চূড়াচন্দ্র সিংকে সম্মানিত করেছিলেন। গত ২৮ মে ভোরে সেরউ গ্রামে হামলা চালায় সশস্ত্র হামলাকারীরা। ইবেতোম্বি নামে ওই বৃদ্ধকে ঘরবন্দি করে তার বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়। গ্রামজুড়ে ব্যাপাক গোলগুলি করে কয়েকশো অস্ত্রধারী যুবক। বৃদ্ধার ২২ বছরের নাতি প্রমেকান্তা সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছে, আমরা যখন এলাম তখন সব শেষ।
ভয়ংকর ওই অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে প্রেমকান্তা বলেন, 'গ্রামে হামলা হতেই ঠাকুমা আমাদের বললেন ঘর ছেড়ে পালাতে। বললে কিছুক্ষণ পরে এসে আমাকে নিয়ে যেও। সেটাও ওর শেষ কথা। হামলাকারীরা গুলি চালাচ্ছিল। উনি বুড়ো হয়েছেন। দ্রুত পালানোর ক্ষমতা ওর ছিল না।'
সংবাদমাধ্য়মে প্রেমকান্তা বলেছেন, টানা দুমাস গ্রামে ঢুকতে পারেননি। যখন শেষপর্যন্ত ফিরে এলেন তখন দেখেন ঘরবাড়ি বলে কিছু আর নেই। কিছু ভাঙা কাঠ ও ঘরের জিনিসপত্র পড়ে রয়েছে। দেখা বোঝাই যাবে না ওটা কখনও কোনও ঘর ছিল। তবে মূল্যবান জিনিসের মধ্যে পেয়েছেন রাষ্ট্রপতি কালামের সঙ্গে দাদুর একটি ছবি। আর পাওয়া গিয়েছে একটি মাথার খুলি।
ঘটনার কথা বলত গিয়ে প্রেমকান্তার পরিবারের আর এক সদস্যা এস সমপাকসানা সংবাদমাধ্যমে বলেন, ঘর থেকে পালিয়ে আমরা স্থানীয় বিধায়কের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলাম। রাত দুটো দশ নাগাদ গোলাগুলি শুরু হয়েছিল। দিদা আমাদের বলল পালাতে। আমরা প্রাণপনে দৌড়লাম। পেছনে তখন গোলগুলির শব্দ। সকালে যখন হামলাকারীরা পালাল তখন আমরা গিয়ে দেখি ঘর বলে আর কিছুই নেই।
এদিকে, ওই খবর সামনে আসতেই সরব হয়েছেন তৃণমূল নেতা সাকেত গোখলে। ট্যুইটারে মোদীকে নিশানা করে তিনি লিখেছেন, আরও একটি ভয়ংকর ঘটনা সামনে এল। স্বাধীনতা সংগ্রামীর বৃদ্ধা স্ত্রীকে পুড়িয়ে মেরেছে উন্মত্ত জনতা। এসব দেখেও মোদী ও কেন্দ্র সরকার ব্যবস্থা না নিয়ে অন্য রাজ্যে কোথায় তী ভুয়ো খবর রটছে তা নিয়ে হইচই করে মণিপুরের ঘটনা ধামা চাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে। বীরেন সিংয়ের আমলে মণিপুরে আদিবাসী ও মহিলাদের ফরে অবর্ণনীয় অত্যাচার হয়েছে।