ঘরোয়া আলোচনা সারতে চেন্নাইয়ের মমল্লপুরম কেন? এখানেও কি মোদীর কূটনৈতিক কৌশল?
সেই মমল্লপুরমের ঐতিহাসিক পরিবেশে শি জিনপিংয়ের সঙ্গে ঘরোয়া আলোচনার আয়োজন করেছেন নরেন্দ্র মোদী। এটা কি মোদীর সুক্ষ্ম কূটনৈতিক কৌশল না কাকতালীয় ঘটনা, তা হয়ত বলা সম্ভব নয়।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ঘরোয়া আলোচনার জন্য চেন্নাইয়ের মমল্লপুরম কেন? প্রথম এ ধরনের নরেন্দ্র মোদী ও শি জিনপিংয়ের সাক্ষাত্ হয়েছিল গত বছর এপ্রিলে উহুানে। সেখানে না ছিল সাংবাদিকদের হুড়োহুড়ি, না কূটনীতিবিদ-আমলাদের ভিড়ে গুরুগম্ভীর পরিবেশ। প্রকৃতির শান্ত পরিবেশে দুই রাষ্ট্রপ্রধান ঘুরে ফিরে ‘মন কি বাত’ করেছিলেন। মমল্লপুরমে এই সাক্ষাত্ও তেমনটাই হতে চলেছে বলে সূত্রের খবর।
ঐতিহাসিক ক্ষেত্র মহাবলীপুরম বা মমল্লপুরম। পল্লব যুগের দ্বিতীয় নরসীমা বর্মণের শাসনকালে ভারতের পশ্চিম তটের তৈরি হয় মন্দিরগুলি। হিন্দু দেব-দেবীর খোদাই করা মূর্তির সৌন্দর্য বিন্যাস ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের তকমা অর্জন করে নিয়েছে। জানা যাচ্ছে, মমল্লপুরমের সঙ্গে চিনের অন্তরঙ্গ যোগাযোগ রয়েছে সেই প্রাচীন কাল থেকেই। পল্লবযুগেই পশ্চিম উপকূলের বন্দর দিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আমদানি-রফতানি চলত। বাণিজ্যিক সম্পর্কে চিন ছিল অন্যতম বন্ধু।
আরও পড়ুন- আর কবে বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করবে কেন্দ্র, জিয়াগঞ্জ খুনে উদ্বেগ ভিএইচপি-র
সেই মমল্লপুরমের ঐতিহাসিক পরিবেশে শি জিনপিংয়ের সঙ্গে ঘরোয়া আলোচনার আয়োজন করেছেন নরেন্দ্র মোদী। এটা কি মোদীর সুক্ষ্ম কূটনৈতিক কৌশল না কাকতালীয় ঘটনা, তা হয়ত বলা সম্ভব নয়। কিন্তু মমল্লপুরম দুই দেশের প্রচীন সংস্কৃতি, আচার-উপাচারের ধারক-বাহকের সাক্ষী হয়ে রয়েছে, এ কথা মেনে নিচ্ছেন ইতিহাসবিদরা।
বিকেল নাগাদ চেন্নাইয়ে পৌঁছবেন শি জিনপিং। সন্ধে মমল্লপুরমে সাক্ষাত্ করবেন মোদী-জিনপিং। সেখানে অর্জুনের তপস্যা খোদাই চিত্র, কৃষ্ণের মাখন বল প্রস্তর খণ্ড এবং পঞ্চ রথ পরিদর্শন করবেন শি জিনপিং। এ দিন চিনা প্রেসিডেন্টের সম্মানে এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে মমল্লপুরমেই। একসঙ্গে নৈশভোজও সারবেন মোদী-জিনপিং। শনিবার দুই দেশের প্রতিনিধিদের নিয়ে মুখোমুখি বৈঠক করবেন তাঁরা। সেখান থেকেই জিনপিং রওনা দেবেন নেপালে।