Joshimath Sinking: বিপন্ন দেবভূমি; কেন বসে যাচ্ছে ছবির মতো সুন্দর যোশীমঠ, জানুন ৩ কারণ

শহরের ৯টি ওয়ার্ডকে ইতিমধ্যেই বসবাসের অযোগ্য বলে ঘোষণা করেছে প্রশাসন। অধিকাংশ বাড়ির দেওয়ালে ফাটল, কোথাও বাড়িতে ওঠার সিঁড়ি ভেঙে চৌচির, কোথাও বাড়ির একাংশ ভেঙে নেমে গিয়েছে নীচে

Updated By: Jan 9, 2023, 07:49 PM IST
Joshimath Sinking: বিপন্ন দেবভূমি; কেন বসে যাচ্ছে ছবির মতো সুন্দর যোশীমঠ, জানুন ৩ কারণ

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: যোশীমঠের ছ'শোরও বেশি বাড়িতে ফাটল ধরছে। শহরের ৯টি ওয়ার্ডকে ইতিমধ্যেই বসবাসের অযোগ্য বলে ঘোষণা করেছে প্রশাসন। অধিকাংশ বাড়ির দেওয়ালে ফাটল, কোথাও বাড়িতে ওঠার সিঁড়ি ভেঙে চৌচির, কোথাও বাড়ির একাংশ ভেঙে নেমে গিয়েছে নীচে। আগেই যোশীমঠের ৯০টি পরিবারকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী যোশীমঠের ৬০০ পরিবারকেও অন্য জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে এরকম ভয়ঙ্কর ধসের কারণ কী?

আরও পড়ুন-দেরি হলেই দাহ করে দিত, নিমতলা শ্মশানে খ্রিষ্টান প্রৌঢ়ের দেহ নিতে এসে আঁতকে উঠলেন ছেলে

ছোট্ট এই জায়গার এমন পরিণতি দেখে প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই, কেন এমন ভয়ঙ্কর ধস? এর পেছনে বহু কারণ উঠে আসছে। তার মধ্যে একটি হল অবৈধ নির্মাণ, শহরজুড়ে সুড়ঙ্গ খননের মতো বিষয়। দেবভূমির এই পরিণতির জন্য বিশেষজ্ঞরা প্রধানত ৩টি কারণকেই দায়ী করছেন।

এনটিপিসির জলবিদ্যুত্ প্রকল্প

ভূতাত্বিকদের অভিমত হল যোশীমঠের মতো ছোট একটি জায়গায় এনটিপিসির জলবিদ্যুত্ প্রকল্প না থামালে এই শহর ধ্বংস হয়ে যাবে। তপোবন বিষ্ণুগড় হাইড্রোপাওয়ার প্রজেক্ট তৈরি হচ্ছে চামোলী জেলার ধৌলি গঙ্গা নদীতে। এটির উত্পাদন ক্ষমতা ৫২০ মেগাওয়াট। এই জলবিদ্যুত্ উত্পাদন কেন্দ্রের উপরে সরকারের নজর থাকলেও এটি এখন যোশীমঠের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

পরিকল্পনাহীন বিপুল নির্মাণ

ওয়াদি ইন্সটিটিউট অব হিমলয়ান জিওলজির ডিরেক্টর কালাচাঁদ সেন সংবাদমাধ্যমে বলেন, যত্রতত্র পরিকল্পনাহীনভাবে গজিয়ে উঠেছে হোটেল, রেস্টুরেন্ট। পর্য়টকদের চাপ বাড়ছে হুহু করে। ওইসব নির্মাণ ভেতর থেকে ভুয়ো করে গিয়েছে যোশীমঠকে। এখান যারা বাস করছেন তাদের সরে যেতেই হবে। কারণ এই জায়গার ভবিষ্যত অন্ধকারে।

ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকা

সিসিমিক জোন ৫ এর মধ্যে পড়ে যোশীমঠ। ফলে যেকোনও সময়ে এখানে বড়সড় ধস বা প্রাকৃতিক বিপর্যয় নেমে আসতে পারে। প্রচীনকালের এক ভূমি ধসের উপরে গজিয়ে উঠেছে যোশীমঠ। ১৯৭৬ সালে মিশ্র কমিটির একটি রিপোর্টে বলা হয়, যোশীমঠ একটি ভূমিধসের উপরে তৈরি হয়েছে। এখানে ক্রমাগত নির্মাণ হলে এটি যেকোনও সময় বসে যেতে পারে। এর মাটির মধ্যে মিশে রয়েছে বালি ও পাথর। কোনও শক্ত পাথরের উপরে দাঁড়িয়ে নেই এই জায়গাটি। তাই এটির উপরে কোনও টাউনশিপ তৈরি হওয়া সমীচিন নয়। এখান যে কোনও বিস্ফোরণ, ভারী যান চলাচল এটির ভারসাম্য নষ্ট করে দিতে পারে। 

কীভাবে রেহাই

বিশেষজ্ঞরা বলছেন যোশীমঠকে বাঁচাতে গেলে পর্যটকদের আনাগোনা বন্ধ করতে হবে। সব ধরনের নির্মাণ থামিয়ে দিতে হবে। যেসব জায়গায় ধসের সম্ভাবনা বেশি সেখানে গাছ লাগাতে হবে।

(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App) 

.