সাংবাদিকদের কী বলা উচিত? রাহুলকে পাঠ পড়াচ্ছেন সহকর্মীরা, দেখুন ভিডিয়ো

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি ওই ভিডিয়ো টুইট করে কটাক্ষ করেছেন, রাহুলকে স্বপ্ন দেখতেও পাঠ নিতে হচ্ছে। সাংবাদিক বৈঠকের আগে কী এমন পাঠ নিলেন রাহুল?

Updated By: Dec 19, 2018, 02:25 PM IST
সাংবাদিকদের কী বলা উচিত? রাহুলকে পাঠ পড়াচ্ছেন সহকর্মীরা, দেখুন ভিডিয়ো
ছবি- এএনআই

নিজস্ব প্রতিবেদন: ডানদিকে বিরোধী দলনেতা তথা প্রবীণ কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজ়াদ। বাঁ-দিকে কংগ্রেসের তরুণ তুর্কি জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। যিনি মধ্য প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে ছিলেন। আর পিছনে সোনিয়া গান্ধীর একদা রাজনৈতিক সচিব  আহমেদ প্যাটেল। মঙ্গলবার পার্লামেন্টের অধিবেশনের শেষে এমনই সপারিষদ নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন রাহুল গান্ধী। তবে, বক্তৃতা শুরুর আগে কী বলা উচিত তা নিয়ে রাহুলকে পাঠ পড়ালেন তাঁর সহকর্মীরা। সেই ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো ভাইরাল।

আরও পড়ুন- ২০১৯-এ মোদী ভোটে ও বিরাট বিশ্বকাপ জিতবেন, দাবি অরুণ জেটলির

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি ওই ভিডিয়ো টুইট করে কটাক্ষ করেছেন, রাহুলকে স্বপ্ন দেখতেও পাঠ নিতে হচ্ছে। সাংবাদিক বৈঠকের আগে কী এমন পাঠ নিলেন রাহুল? ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, রাহুলের উদ্দেশে তাঁরই ‘আস্থাভাজন’ জ্যোতিরাদিত্য বলছেন, “মোদী যা করেননি এবং আমরা যেটা করে দেখিয়েছি, সেটা বলা উচিত।” তাতে সম্মতি জানিয়ে রাহুল ঘাড়ও নাড়েন। জ্যোতিরাদিত্যের ফের পরামর্শ, কেন্দ্রের সহয়তা নিয়ে কিছু বলার দরকার নেই...।  আবার রাহুলকে দেখা গেল, প্রবীণ কংগ্রেস নেতা আহমেদ প্যাটেলের সঙ্গে সলা-পরামর্শ নিতে। সাংবাদিক বৈঠকের আগে এমন চূড়ান্ত অপ্রস্তুত হতে দেখা যায় রাহুল গান্ধীকে।

আরও পড়ুন- আইএনএক্স মিডিয়া মামলার জিজ্ঞাসাবাদে ইডি দফতরে ফের হাজিরা চিদম্বরমের

কংগ্রেস সভাপতির এহেন আচরণে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বিজেপি নেতারা। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি বলেন, “স্বপ্ন দেখতেও রাহুলকে পাঠ নিতে হচ্ছে। নিজের কথার উপর বিশ্বাস নেই তাঁর। সহকর্মীরা শেখাচ্ছেন, কী বলা উচিত।” স্মৃতির আরও সমালোচনা, রাহুল যে ভোটে লড়ার যোগ্য নন, এই ভিডিয়োই দেশবাসীর কাছে সতর্কবার্তা। উল্লেখ্য, সংসদে ঢোকার আগে ফুরফুরে মেজাজে কংগ্রেস সভাপতিকে দেখা যায়। কৃষিঋণ নিয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে রাহুল চওড়া হাসিতে বলেন, “দেখেছেন তো! আপনারা দেখেছেন তো! কাজ শুরু হয়ে গেছে...।” উল্লেখ্য, ক্ষমতা আসার পরই মাত্র ৬ ঘণ্টার মধ্যে কৃষিঋণ মুকুব করে মধ্যপ্রদেশ এবং ছত্তিসগড়ের কংগ্রেস সরকার।

.