সীমান্তের পর ওয়েবসাইটেও পাক হানাদারি, মোদীর নামে আপত্তিকর মেসেজ

সীমান্ত আর নিয়ন্ত্রন রেখায় গোলাগুলি চলছে বেশ কয়েকদিন ধরেই। এবার ওয়েবসাইটের দুনিয়াতেও পাক হানাদারি। আজ সকালে প্রেস ক্লাব অফ ইন্ডিয়ার ওয়েবসাইট হ্যাক করে পাকিস্তানি হ্যাকাররা। ভারত সরকারের বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধ ঘোষণা করে, ওয়েবসাইটে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নামে আপত্তিকর মেসেজ পোস্ট করে তারা।

Updated By: Oct 9, 2014, 08:48 PM IST

ওয়েব ডেস্ক: সীমান্ত আর নিয়ন্ত্রন রেখায় গোলাগুলি চলছে বেশ কয়েকদিন ধরেই। এবার ওয়েবসাইটের দুনিয়াতেও পাক হানাদারি। আজ সকালে প্রেস ক্লাব অফ ইন্ডিয়ার ওয়েবসাইট হ্যাক করে পাকিস্তানি হ্যাকাররা। ভারত সরকারের বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধ ঘোষণা করে, ওয়েবসাইটে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নামে আপত্তিকর মেসেজ পোস্ট করে তারা।

হ্যাকাররা হুমকি দিয়েছে, এবার নিশানা করা হবে সরকারি ওয়েবসাইটগুলিকেও। অচল করে দেওয়া হবে ভারতের ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থা। শুধু তাই নয়, রাষ্ট্রপতিকেও চ্যালেঞ্জ করেছে হ্যাকাররা। রাষ্ট্রপতির উদ্দেশে তাদের চ্যালেঞ্জ, সাইবার যুদ্ধে পাকিস্তানের কাছে হারতে বাধ্য হবে ভারতের সামরিক শক্তিও। কারণ ছায়াকে ধরা যায় না। হ্যাকিং ধরা পড়ার পরেই বন্ধ করে দেওয়া হয়, প্রেস ক্লাবের ওয়েবসাইটটি।

এদিকে, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আরও সুর চড়াল ভারত। জম্মু কাশ্মীর সীমান্তে সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন বন্ধ করতে হবে অবিলম্বে। নাহলে চরম শিক্ষা দেবে ভারত। পাকিস্তানকে এই হুঁশিয়ারি প্রতিরক্ষামন্ত্রী অরুণ জেটলির।

দু দেশ কি আলোচনায় বসবে? এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিনা প্ররোচনায় হামলা চলতে থাকলে শান্তির কথা বলা যায় কি? কোনও লক্ষণ নেই হামলা থামার। দিন-রাত, চলছে গোলাগুলি। ওপার থেকে ছুটে আসছে একের পর এক মর্টার শেল। লাগাতার গুলিবর্ষণে কান পাতা দায়। এর অন্যথা হয়নি বৃহস্পতিবারও। বিএসএফের ষাটটি বর্ডার আউটপোস্ট লক্ষ্য করে আক্রমণ চলেছে পাক রেঞ্জার্সদের। নিশানা ছিল সীমান্ত সংলগ্ন আশিটি গ্রামও। নিহত-আহতের সংখ্যা বাড়ছে প্রতিদিনই। হামলা বন্ধ না করলে পাকিস্তানকে চরম শিক্ষার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী অরুণ জেটলি।   

জম্মু কাশ্মীরে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার ক্ষেত্রে বিএসএফ এবং সেনার ভূমিকার এদিন ভূয়সী প্রশংসা করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, পাকিস্তান তার উস্কানিমূলক আচরণের যোগ্য জবাব পাবে প্রতি পদক্ষেপে। বিনা প্ররোচনায় এই আক্রমণ বন্ধ না করলে মূল্য দিতেই হবে তাদের। এই ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী কেন এত নীরব? কেন তাঁর গলায় শোনা যাচ্ছে না কড়া কোনও বার্তা? এই অভিযোগ কংগ্রেস সহ বিরোধী দলগুলির।

জবাব এসেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছ থেকে। আগে হামলা বন্ধ। এরপরই কোনও আলোচনা। এদিন আরও একবার একথা স্পষ্ট করে দিয়েছে কেন্দ্র। অন্যদিকে, সীমান্তে উত্তেজনা ইস্যুতে নিজের দেশে চাপে পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফও। পরিস্থিতি সামলাতে আরও যোগ্য নেতা দরকার বলে চাপ বাড়িয়েছেন তেহেরিক-ই-ইনসাফ নেতা ইমরান খান।

.