বর্ধমানকাণ্ডে অবশেষে এনআইএ তদন্তের সিদ্ধান্ত, সবুজ সঙ্কেত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের

শেষ পর্যন্ত বর্ধমান বিস্ফোরণের তদন্তে এনআইএ। এই প্রথম কোনও রাজ্যের আপত্তি সত্ত্বেও এনআইএ তদন্তের সিদ্ধান্ত। খাগড়াগড় বিস্ফোরণে এনআইএ তদন্তের সম্ভাবনার কথা প্রথম বলেছিল চব্বিশ ঘণ্টা।

Updated By: Oct 9, 2014, 11:00 PM IST
বর্ধমানকাণ্ডে অবশেষে এনআইএ তদন্তের সিদ্ধান্ত, সবুজ সঙ্কেত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের

শেষ পর্যন্ত খাগড়াগড় কাণ্ডের তদন্তের দায়িত্ব যাচ্ছে এনআইএর হাতে। এনআইএর হাতে যে তদন্ত  যেতে পারে, এখবর প্রথম জানিয়েছিল চব্বিশ ঘণ্টা। এই প্রথম রাজ্যের আপত্তি সত্ত্বেও তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে এনআইকে।  যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় আঘাত লাগবে, এই যুক্তিতে বর্ধমান-কাণ্ডের এনআইএ তদন্তে  নারাজ ছিল রাজ্য সরকার। এঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত তদন্তের সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র।

বর্ধমান-কাণ্ডে বাংলাদেশি জঙ্গিদের জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে। তাই, খাগড়াগড়ের বিস্ফোরণকে শুধুমাত্র রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার ব্যাপার বলে দেখা উচিত নয়। জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থেই এনআইএ তদন্ত জরুরি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় সন্ত্রাসবাদ দমনে ২০০৮-এর ৩১ ডিসেম্বর তৈরি হয় ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি। ন্যাশনাল কাউন্টার টেররিজম সেন্টার গঠনের প্রাথমিক ধাপ হিসাবে  তৈরি এনআইএ জাতীয় স্বার্থে দেশের যে কোনও প্রান্তে গিয়ে তদন্ত করতে পারে।

সাধারণভাবে, রাজ্য সরকার চাইলে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে সংশ্লিষ্ট ঘটনার তদন্ত শুরু করে এনআইএ। তবে, কেন্দ্র যদি মনে করে কোনও ঘটনায় রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে, তাহলে রাজ্যকে অগ্রাহ্য করে এনআইকে তদন্তের দায়িত্ব দিতে পারে।

রাজ্যের আপত্তি অগ্রাহ্য করে কেন্দ্রের নির্দেশে এনআইএ কোনও ঘটনার তদন্ত করছে, এমন নজির এখনও পর্যন্ত নেই। গত বছর অক্টোবরে পাটনার গান্ধী ময়দানে নরেন্দ্র মোদীর সভায় বিস্ফোরণের তদন্ত প্রথমে এনআইএ-কে দিতে চায়নি বিহার সরকার। যদিও, পরে এনআইএ তদন্তে রাজি হন তত্কালীন মুখ্যমন্ত্রী  নীতীশ কুমার। গত মে মাসে চেন্নাই সেন্ট্রাল রেল স্টেশনে বেঙ্গালুরু-গুয়াহাটি এক্সপ্রেসে বিস্ফোরণের পর এনআইএ তদন্তে আপত্তি জানান তামিলনাড়ুর ততকালীন মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতা। পরে রাজ্যের  সম্মতি নিয়েই ঘটনাস্থলে যান এনআইএ-র গোয়েন্দারা।

.