বিজেপির গৃহ বিবাদে ঘৃতাহুতি সংঘের
বৈদ্য-বিজেপি বিতর্ক জমে গেল। রবিবার গুজরাত মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আরএসএস-এর প্রবীণ নেতা তাঁর ব্লগে নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন বিজেপি সভাপতি গড়করির বিরুদ্ধে দলের মধ্যে ওঠা সব বিতর্কের পিছনেই আসলে গুজরাত মুখ্যমন্ত্রী রয়েছেন। সোমবার বিজেপির তরফ থেকে বৈদ্যের সমস্ত অভিযোগকেই খারিজ করে দিয়েছেন।
বৈদ্য-বিজেপি বিতর্ক জমে গেল। রবিবার গুজরাত মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আরএসএস-এর প্রবীণ নেতা তাঁর ব্লগে নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন বিজেপি সভাপতি গড়করির বিরুদ্ধে দলের মধ্যে ওঠা সব বিতর্কের পিছনেই আসলে গুজরাত মুখ্যমন্ত্রী রয়েছেন। সোমবার বিজেপির তরফ থেকে বৈদ্যের সমস্ত অভিযোগকেই খারিজ করে দিয়েছেন।
বিজেপির তরফ থেকে তাদের মুখপাত্র
রবি শঙ্কর প্রসাদ জানিয়েছেন ''লেখক (বৈদ্য) একজন সাংসদের সাম্প্রতিক মন্ত্যবের সঙ্গে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর যোগসূত্র স্থাপন করতে চেয়েছেন, যা একেবারেই অমুলক, এবং ভিত্তিহীন।'' দলের প্রকাশ্যে আসা গৃহবিবাদ সামাল দিতে রবি শঙ্কর এও জানিয়েছেন বিজেপির সমস্ত সদস্য এবং নেতারা একসঙ্গে একটা নির্দিষ্ট লক্ষ্যে কাজ করেন। পুরো দলই নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গেই আছে। একই সঙ্গে তিনি দাবি করেছেন এবারের গুজরাতের বিধানসভা নির্বাচনেও বিজেপি জিতবে।
বৈদ্যর মন্তব্যে আরএসএসের সঙ্গে বিজেপির সম্পর্কেও চিড় দেখা গিয়েছে। ড্যামেজ কন্টোল করতে আরএসএসের পক্ষ থেকে তড়ি ঘড়ি করে জানানো হয়েছে বৈদ্যর বক্তব্য একান্ত ভাবেই তাঁর নিজস্ব অভিমত। এর সঙ্গে সংঘের মতামতের কোনও সম্পর্ক নেই।
তবে বৈদ্য কিন্তু মোটেও তাঁর বক্তব্য থেকে সরে আসতে রাজি নন। তিনি পরিষ্কার জানিয়েছেন ''জেঠমালানি তাঁর বক্তব্যে একদিকে যেমন গড়করির ইস্তফা চেয়েছেন অন্যদিকে তেমনই প্রধানমন্ত্রী পদের দলীয় প্রার্থী হিসাবে নরেন্দ্র মোদীর নামের সুপারিশও করেছেন। এই মন্তব্যকে গুরুত্ব দিয়ে বিচার করলে সন্দেহর তির অবশ্যই মোদীর দিকেই যায়। যদি জেঠমালানির নিজের মতামত প্রকাশ করার স্বাধীনতা থাকে তাহলে আমারও নিজের বক্তব্য প্রকাশ করার অধিকার রয়েছে।''
প্রসঙ্গত, তাঁর ব্লগে শুধুমাত্র মোদীর বিরুদ্ধে তোপ দেগে ক্ষান্ত হননি আরএসএসের এই প্রবীণ নেতা। পরিষ্কার জানিয়েছেন জেঠমালানি গড়করির সঙ্গে তাঁর বিরোধিতার কথা জনসমক্ষে এনে মোটেও ভাল কাজ করেননি। তিনি বলেছেন ``যে কোন বিজেপি সদস্য বা এমপি-র গড়করির বিরুদ্ধে বক্তব্য থাকতেই পারে, তাঁরা সভাপতির ইস্তফাও দাবি করতে পারেন। কিন্তু এই সমস্ত প্রসঙ্গ উত্থাপনের জন্য জনসমক্ষে না এসে তাঁদের উচিৎ পার্টি 'প্ল্যাটফর্ম'কেই ব্যবহার করা``
বৈদ্যর সমালোচনার বান থেকে বাঁচতে পারেননি যশবন্ত সিনহা, শত্রুঘ্ন সিনহা আর জসবন্ত সিং। এই তিনজনের প্রতি তিনি জানিয়েছেন যদি এঁরা রাম জেঠমালানির সঙ্গে একমত হন তাহলে তাঁদেরও উচিৎ মহেশ জেঠমালানির মত দলীয় পদ থেকে পদত্যাগ করা।