উত্তরাখণ্ডে আজ শেষ হচ্ছে উদ্ধারকাজ, এখনও নিখোঁজ ৩,০০০
উত্তরাখণ্ডের বন্যা ধ্বংস করে দিয়েছে পবিত্র দেবভূমি। হিমালয়ের বিভিন্ন প্রান্তে উদ্ধারকার্যে নিযুক্ত থাকা একাধিক সংস্থা আজ তাঁদের কাজ শেষ করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। টানা ১২ দিন ধরে চলা যুদ্ধের শেষ। ১২ দিন ধরে দেশ দেখেছে কঠিন পরিস্থিতিতে এক হয়ে কাজ করার স্পৃহা। প্রকৃতির কাছে হার না মেনে সেনাবাহিনীর ইতিহাসের সবচেয়ে বড় উদ্ধারকাজ শেষ হচ্ছে শুক্রবার। তবে বদ্রীনাথ ও বেশকিছু অংশে উদ্ধারের কাজ চালু থকবে বলে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে।
উত্তরাখণ্ডের বন্যা ধ্বংস করে দিয়েছে পবিত্র দেবভূমি। হিমালয়ের বিভিন্ন প্রান্তে উদ্ধারকার্যে নিযুক্ত থাকা একাধিক সংস্থা আজ তাঁদের কাজ শেষ করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। টানা ১২ দিন ধরে চলা যুদ্ধের শেষ। ১২ দিন ধরে দেশ দেখেছে কঠিন পরিস্থিতিতে এক হয়ে কাজ করার স্পৃহা। প্রকৃতির কাছে হার না মেনে সেনাবাহিনীর ইতিহাসের সবচেয়ে বড় উদ্ধারকাজ শেষ হচ্ছে শুক্রবার। তবে বদ্রীনাথ ও বেশকিছু অংশে উদ্ধারের কাজ চালু থকবে বলে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে।
উদ্ধারকারী দল জানিয়েছে, কেদারনাথে আটকে পড়া সব পর্যটককে নামিয়ে আনা হয়েছে । তবে, বদ্রীনাথে এখনও অনেকে আটকে রয়েছেন। উত্তরাখণ্ড সরকার জানিয়েছে, সমস্ত জায়গায় উদ্ধারকাজ শেষ হতে আরও তিন-চারদিন সময় লাগবে। এ সবের মধ্যেই আজ কেদারে সম্পন্ন হয়েছে গণ অন্ত্যেষ্টি।
বৃষ্টি হলেও পরিস্থিতি খুব খারাপ না হওয়ায় বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত জোর কদমে চলে উদ্ধার কাজ। বদ্রীনাথ ও হরশিল থেকে প্রায় দেড় হাজার পর্যটককে এ দিন যোশীমঠে নামিয়ে আনা হয়। সেনা, বায়ুসেনা, আইটিবিপি এবং এনডিআরএফের কর্মীরা কেদারনাথে উদ্ধারের কাজ শেষ করেছেন। যদিও, বহু মানুষের এখনও কোনও খোঁজ নেই। মৃতদেহ থেকে দূষণ ছড়িয়ে পড়ায় এ দিন কেদারেই সম্পন্ন হয় গণ-অন্ত্যেষ্টি।
বদ্রীনাথ, ধারাসু, হরশিল সেক্টরে এখনও হাজার দুয়েক মানুষ আটকে রয়েছেন বলে ন্যাশনাল। ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটির তরফে জানানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার পিথোরাগড়ে ভূমিকম্প অনূভূত হয়। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা তিন দশমিক পাঁচ হলেও আতঙ্কিত হয়ে পড়েন সাধারণ মানুষ।
এনডিএমএ-র কথানুযায়ী যদি শুক্রবারের মধ্যে উদ্ধারের কাজ শেষ না হয়, তাহলে নতুন করে সমস্যা তৈরি হতে পারে।
উদ্ধারের কাজ শেষ হওয়ার পরও আগামী দুমাস সরকারকে খাবারের ব্যবস্থা সহ ত্রাণের কাজ চালিয়ে যেতে হবে বলে জানিয়েছেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী।
দুর্গত মানুষজনকে উদ্ধারের কাজ এখনও শেষ হয়নি। রয়েছে, পুনর্বাসন ও পুনর্গঠনের চ্যালেঞ্জ। এ সবের মধ্যেই মহামারী ছড়িয়ে পড়ার পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় দেখা দিয়েছে নতুন আতঙ্ক।
উত্তরাখণ্ডে ভয়াবহ বিপর্যয়ের জেরে রাস্তার অবস্থা খারাপ হয়ে যাওয়ায় এক বছরের জন্য গুরুদ্বার হেমকুন্ড সাহিব বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।