ফের ধস নামল আলমোরায়, জলের তোড়ে নিশ্চিহ্ন বেশ কিছু রাস্তা

১১টা ৮: আলমোরাতে ফের ধস নেমেছে। আলমোরার রাস্তায় বড় সড় গর্ত তৈরি হয়েছে। কিছু রাস্তা জলের তোড়ে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। সেনা দ্রুত রাস্তা সারাইয়ের কাজে নেমে গেছে।

Updated By: Jun 20, 2013, 09:47 AM IST

১১টা ৮: আলমোরাতে ফের ধস নেমেছে। আলমোরার রাস্তায় বড় সড় গর্ত তৈরি হয়েছে। কিছু রাস্তা জলের তোড়ে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। সেনা দ্রুত রাস্তা সারাইয়ের কাজে নেমে গেছে।
১০টা ২৬: ভারতীয় বায়ু সেনা উত্তরাখণ্ডে উদ্ধারকার্য শুরু করেছে।
১০টা ১৮: রুদ্রপ্রয়াগের এসপি নীলেশ আনন্দ ভার্নে জানিয়েছেন ১,০০০ জন মানুষকে কেদারনাথ থেকে গুপ্তিকাশিতে নিয়ে আসা হয়েছে। তিনি আশা করেছেন বাকীদেরও দ্রুত কেদারনাথ থেকে উদ্ধার করা সম্ভব হবে।
৯টা ৪১: ভারতীয় বায়ুসেনার আধিকারিকরা জানিয়েছেন কেদারনাথ ও গুপ্তিকাশির মধ্যেকার সংকীর্ণ অঞ্চল বন্যায় সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্থ। বায়ু সেনার হেলিকপ্টারেরও ওই অঞ্চলে উদ্ধার চালাতে অসুবিধা হচ্ছে। তবে শুক্রবারের মধ্যে তাঁরা উদ্ধার কার্য সম্পন্ন করতে পারবেন বলে আশা করেছেন।
৯টা ৩৬: কেদারনাথে হাজারের বেশি মানুষ আটকে রয়েছেন। বৃহস্পতিবারের মধ্যে অন্তত ৫০০জনকে উদ্ধার করা যাবে বলে আশা করছেন বায়ুসেনা আধিকারিকরা।
৯টা ২১: উত্তরকাশির রাস্তা খুলে দেওয়া হয়েছে। হাজার খানেক আটকে পড়া তীর্থযাত্রী ফিরতে শুরু করেছেন।
৯টা১৩: ১০০ প্যারাট্রুপারস গৌরীকুণ্ডের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে।
৮টা ৪৮: খারাপ আবহাওয়ার জন্য দেরাদুনের কাছে বিমানবন্দর থেকে উদ্ধারকার্য ব্যহত হয়েছে। মেডিক্যাল টিম সহ সেনাবাহিনীর সশস্ত্র একটি দল দল রুদ্রপ্রয়আগ থেকে কেদারনাথের দিকে রওনা দিল।
উত্তরাখণ্ডে বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৫০। ৬০,০০০ মানুষ এখনও আক্রান্ত। খারাপ আবহাওয়ার জন্য তাদের কাছে প্রয়োজনীয় খাদ্য ও চিকিৎসাব্যবস্থা পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
বৃষ্টি থামায় নামতে শুরু করেছে জলস্তর। আর তাতেই ধীরে ধীরে সামনে আসছে বন্যাবিধ্বস্ত উত্তরাখণ্ডের ধ্বংসস্তূপের ছবি। মুছে যাওয়া জনপদ, সন্ত্রস্ত পর্যটক আর সব হারানো মানুষের কান্নার সেই বিষাদময় ছবি ধরা পড়েছে চব্বিশ ঘণ্টার ক্যামেরায়। উত্তরাখণ্ড থেকে অঙ্গীরা ব্যানার্জির রিপোর্ট। 
 ইতিমধ্যেই অলোকনন্দা ও মন্দাকিনীর রুদ্ররোষ দেখেছে গোটা বিশ্ব। বুধবার বৃষ্টি না হওয়ায় নতুন করে বিপর্যয় ঘটেনি। কিন্তু, জল নামতে থাকায় ধীরে ধীরে ধ্বংসস্তূপের যে ছবি পাওয়া যাচ্ছে তা শিউরে ওঠার মতো। কেদারনাথে মন্দিরটুকু ছাড়া বাকি সবই নদীগর্ভে। উত্তরাখণ্ডের অন্যান্য তীর্থস্থানগুলির অবস্থাও একইরকম। সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা কার্যত বিচ্ছিন্ন।
তলিয়ে গিয়েছে চারশোটি সড়ক। ভেঙে পড়েছে একুশটি সেতু। উত্তরাখণ্ডে আটকে থাকা ষাট হাজারেরও বেশি পর্যটককে উদ্ধারে এখন হেলিকপ্টারই ভরসা।
সেনাবাহিনী, বিমান বাহিনী, পুলিস, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দল ও ইন্দো টিবেটান বর্ডার পুলিস একসঙ্গে উদ্ধারকার্যে হাত লাগিয়েছে। তাদের ছাব্বিশটি হেলিকপ্টার বুধবার সারাদিন উড়েছে।
দেরাদুন, হরিদ্বার বা মুসৌরি থেকে ইতিমধ্যেই বাড়ির পথে রওনা হয়েছেন উদ্ধার হওয়া কয়েক হাজার পর্যটক। যাওয়ার জায়গা নেই এই রাজ্যের বিপর্যস্ত বাসিন্দাদের।
 রুদ্রপ্রয়াগ, চামোলি, উত্তরকাশী, টিহরি সর্বত্রই একই ছবি। সব গেছে সর্বগ্রাসী অলোকনন্দা আর মন্দাকিনীর গ্রাসে। কোথাও কোথাও মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন স্থানীয় হাসপাতালগুলিতে।

.