Uttar Pradesh election 2022: ৩০০ আসন পাবই, নির্বাচনী ফলাফল নিয়ে আত্মবিশ্বাসী যোগী
উত্তরপ্রদেশের দ্বিতীয় দফার ভোটের সকালে ফের বাংলা ও কেরলের বিরুদ্ধে তোর দাগলেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।
নিজস্ব প্রতিবেদন: উত্তরপ্রদেশের দ্বিতীয় দফার ভোটের সকালে ফের বাংলা ও কেরলের বিধানসভা নির্বাচনের দিকে আঙুল তুললেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। তাঁর অভিযোগ, বঙ্গ বিধানসভা ভোটে অবাধে বুথ দখল হয়েছিল। অত্যাচারের শিকার হয়েছিলেন বিজেপি কর্মীরা। একই ছবি কেরলেও। সোমবার উত্তর প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচন ২০২২-এর দ্বিতীয় ধাপের ভোটগ্রহণের মধ্যে, মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ আস্থা প্রকাশ করেছেন যে তাঁর দল অর্থাৎ বিজেপি - এই নির্বাচনে ৩০০ টিরও বেশি আসন পাবে৷ মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেছেন যে এবার উত্তরপ্রদেশে ৮০ বনাম ২০-র লড়াই।
প্রসঙ্গত, গত ৮ ফেব্রুয়ারি লখনউয়ে গিয়ে বিভিন্ন ইস্যুতে যোগী আদিত্যনাথকে নিশানা করেন মমতা। তারই পাল্টা আদিত্যনাথের দাবি, উত্তরপ্রদেশে শান্তিপূর্ণ ভোট হচ্ছে। অথচ অনেকে বাংলা থেকে এসে অরাজকতা সৃষ্টির কথা বলছে। কিছুদিন আগেই বিজেপিকে ক্ষমতায় ফেরত না নিয়ে এলে উত্তরপ্রদেশও পশ্চিমবঙ্গ এবং কেরালার মতো হয়ে উঠতে পারে বলে যোগী আদিত্যনাথ টেনে আনেন বাংলা-কেরলের প্রসঙ্গ। তার মন্তব্যের বিরুদ্ধে যে সমালোচনা শুরু হয়েছিল। উত্তরে যোগী আদিত্যনাথ বলেছিলেন যে তিনি বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যের জনগণকে সতর্ক করেছিলেন।
আরও পড়ুন, Assembly Elections: এই ৩ রাজ্যের ভোট আজ, রেকর্ড সংখ্যক ভোটদানের আর্জি প্রধানমন্ত্রীর
এএনআই-কে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে আদিত্যনাথ বলেছিলেন, "এই মানুষেরা বাংলা থেকে আসছে এবং এখানে নৈরাজ্য তৈরি করছে। এর জন্য, তার বিরুদ্ধে জনগণকে সতর্ক করা প্রয়োজন ছিল। 'সতর্ক থাকুন - আপনি যে সুরক্ষা, সম্মান পাচ্ছেন,তা ব্যাহত করতে কিছু মানুষ উদ্যত এবং সেটা হতে দেবেন না। মানুষকে সতর্ক করার দায়িত্ব ছিল আমার।"
এরপরই গত বছর রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের পরে পশ্চিমবঙ্গে ভোট-পরবর্তী সহিংসতার ঘটনাগুলি তুলে ধরে আদিত্যনাথ বলেছিলেন, "আমি জিজ্ঞাসা করতে চাই, বাংলায় কি শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন হয়েছে? সম্প্রতি বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন হয়েছিল এবং সেখানে বিজেপি কর্মীদের নির্যাতন করা হয়েছে৷ বুথ দখল করা হয়। নৈরাজ্য চরমে উঠেছিল। বহু মানুষ মারা গিয়েছিল। একই রকম ঘটনা ঘটেছে কেরালায়। এই দুই রাজ্যে যে হিংসা, রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড হয়েছে, তা আর কোথায় ঘটেছে?"
উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম পর্বের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনের তুলনা করে তিনি বলেন, এখানে শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন হয়েছে। "প্রথম পর্বের ইউপি নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে। অন্যথায়, এখানে আগে দাঙ্গা হয়েছিল। নৈরাজ্য ছড়িয়েছিল। অপরাধ চরমে ছিল। ৫ বছরে কি কোনও দাঙ্গা হয়েছে?'' উত্তরপ্রদেশে সংখ্যালঘুরা নিরাপদ নয় এমনই অভিযোগ যোগী সরকারের বিরুদ্ধে। এই সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন যে তাঁর সরকার সকলের নিরাপত্তা ও সমৃদ্ধি প্রদানের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে এবং কোনও বিশেষ সম্প্রদায়কে তুষ্ট করা হয় না।