সেনার কীসের ছুটি! নিজের জমানো টাকা থেকে সবার মুখে ভাত তুলে দিচ্ছেন জওয়ান
পদ্মেশ্বরের কথা অনুযায়ী, তাঁর বাহিনী সেবা ও বিশ্বস্ততাকে প্রধান মনে করে। একজন জওয়ান, একা থাকুক বা দলে, প্রধান কাজ হল সেবা করা।
নিজস্ব প্রতিবেদন— তাঁরা লড়ে যায়। তাই তো আমরা স্বস্তিতে থাকতে পারি। সিআরপিএফের অ্যাসিসট্যান্ট সাব ইনসপেক্টর পদ্মেশ্বর দাস। এই সময় অসমের বাড়িতে তাঁর ছুটি কাটানোর কথা। কিন্তু তা না করে চতঙ্গুরি গ্রামে নিজের জমানো টাকা দিয়ে সকলের হাতে তুলে দিচ্ছেন খাদ্যসামগ্রী। ৩ মার্চ সোপিয়ান থেকে ছুটি নিয়ে বাড়িতে এসেছিলেন। তারপর দেশজুড়ে লকডাউনের ডাক দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাই কাজে যোগ দিতে পারেননি। কিন্তু কাজ থেমে থাকেনি।
পদ্মেশ্বরের কথা অনুযায়ী, তাঁর বাহিনী সেবা ও বিশ্বস্ততাকে প্রধান মনে করে। একজন জওয়ান, একা থাকুক বা দলে, প্রধান কাজ হল সেবা করা। তাই নিজেকে "ওয়ান ম্যান আর্মি" বানিয়ে সেই কাজেই নেমেছেন বছর আটচল্লিশের পদ্মেশ্বর। নিজের স্কুটারে করে বাজারে গিয়ে সকলের হাতে দুকেজি চাল, আলু, পেঁয়াজ ও তেলসহ বিভিন্ন সামগ্রী নিজের হাতে তুলে দিচ্ছেন এই জওয়ান। গর্বের সঙ্গে নিজের সেনা পোশাক পরেই এই যুদ্ধে সকলের মুখে দুমুঠো ভাত তুলে দিতে পথে নেমেছেন পদ্মেশ্বর। নিজের পকেট থেকে প্রায় ১০,০০০ টাকা খরচ করে এইসব আয়োজন করেছেন পদ্মেশ্বর দাস। এই অসামান্য কাজের জন্য তাঁকে বাহবা জানাতে ভোলেনি ভারতীয় সেনা। ইতিমধ্যে ৭৬ বিএনের এই জওয়ানকে শংসাপত্র দিয়েছে গৃহ মন্ত্রালয়।
আরও পড়ুন— লকডাউনের মাসপূর্তিতে স্বস্তির খবর! শর্তসাপেক্ষে আজ থেকে খোলা বিভিন্ন দোকান
"সিআরপিএফ মদদগার"-টুইটার হ্যান্ডেল থেকেও পোস্ট করা হয়েছে তাঁর এই মানবিক উদ্যোগের ছবি। ৭৬ নং ব্যটিলিয়নের কমান্ডেন্ট নীরজ পান্ডে বলেছেন, "আমি গর্বিত। নিজে ছুটিতে থেকে যে কাজ ও করেছে তা প্রশংসনীয়।" তবে প্রশংসায় ভাসতে নারাজ পদ্মেশ্বর। তাঁর নরম কথা, "আমার ডেল্টা বাহিনী সোপিয়ানে এই করোনা মোকাবিলায় সকলকে সাহায্য করছে। আমি তাঁদের মধ্যেই একজন।"