আত্মঘাতী জঙ্গিহানার সতর্কতা থাকার পরেও কেন ১৭জন সেনাকে প্রাণ দিতে হল?

উরি সেক্টরে আত্মঘাতী জঙ্গিহানার নির্দিষ্ট সতর্কতা ছিল আগেই। এমনটাই দাবি করল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। কিন্তু তার পরেও কেন সতেরোজন সেনাকে এভাবে প্রাণ দিতে হল? গোয়েন্দা ব্যর্থতা এবং নিরাপত্তার গাফিলতি নিয়েই উঠছে প্রশ্ন। উরির জঙ্গিহানাতেও উঠে এল পাক-মদতের অভিযোগ।

Updated By: Sep 18, 2016, 08:09 PM IST
আত্মঘাতী জঙ্গিহানার সতর্কতা থাকার পরেও কেন ১৭জন সেনাকে প্রাণ দিতে হল?

ওয়েব ডেস্ক: উরি সেক্টরে আত্মঘাতী জঙ্গিহানার নির্দিষ্ট সতর্কতা ছিল আগেই। এমনটাই দাবি করল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। কিন্তু তার পরেও কেন সতেরোজন সেনাকে এভাবে প্রাণ দিতে হল? গোয়েন্দা ব্যর্থতা এবং নিরাপত্তার গাফিলতি নিয়েই উঠছে প্রশ্ন। উরির জঙ্গিহানাতেও উঠে এল পাক-মদতের অভিযোগ।

আরও পড়ুন এক হেলিকপ্টার আর তিন প্রিয় ক্রিকেটার

পাক অধিকৃত কাশ্মীরে উরি সেক্টরের ঠিক উল্টোদিকেই সাত জঙ্গি ঘাঁটি গেড়েছিল। উদ্দেশ্য সেনাঘাঁটিতে হামলা চালানো। শুধু তাই নয়, গত দুমাসে নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে জঙ্গিদের তিরিশজনের একটি দল যে কাশ্মীরে ঢুকে পড়েছে, গোয়েন্দা সূত্রে খবর ছিল এমনই। তারপরেও কীভাবে জঙ্গিহানার মুখে পড়ল নিয়ন্ত্রণরেখার খুব কাছে থাকা একটি সেনাঘাঁটি? কেন সেখানে বাড়ানো হল না নজরদারি? যেখানে মজুত থাকে সেনা রসদ, সেখানে নিরাপত্তার এই ঢিলেমি কেন? সাম্প্রতিককালে সেনাঘাঁটিতে সবচেয়ে বড় জঙ্গিহানার পর এই প্রশ্নগুলিই সামনে আসছে।

আরও পড়ুন ১০ টাকার কয়েন সম্পর্কে ছড়ানো গুজবটি ভুয়ো

গোয়েন্দা সূত্রে খবর, শনিবারই নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে কাশ্মীরে ঢুকে পড়ে ষোলোজন জঙ্গি। তারা তিনটি দলে ভাগ হয়ে হামলার পরিকল্পনা করে। একটি দল হামলা চালায় উরি সেনাঘাঁটিতে। দ্বিতীয় দলটি পুঞ্চের সেনা ছাউনির দিকে রয়েছে। অন্য দলটি শ্রীনগরের দিকে রয়েছে বলে গোয়েন্দা সূত্রে খবর। এরই মধ্যে উরির সেনাঘাঁটিতে জঙ্গিহানায় উঠে এসেছে পাক-মদতের অভিযোগ। মৃত জঙ্গিদের কাছ থেকে যেসব অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার হয়েছে, সবেতেই পাক সংস্থার ছাপ মিলেছে বলে দাবি সেনার। পাঠানকোটের পর উরি। ক্রমশ জোরালো হচ্ছে জৈশ যোগের অভিযোগ। ভারতের মাটিতে সন্ত্রাস চালানোর অভিযোগে ফের কাঠগড়ায় পাকিস্তান।

.