খবরের কাগজের সঙ্গে সাঁটা সার্জিকাল মাস্ক! সাতসকালে অবাক হলেন পাঠকরা
জম্মু ও কাশ্মীরের স্থানীয় উর্দু দৈনিক সংবাদপত্র ‘রোশনি’ পাঠকদের জন্য মাস্ক পাঠিয়েছিল প্রথম পাতায় সাঁটিয়ে।
নিজস্ব প্রতিবেদন- অনেক সময় সাতসকালে খবরের কাগজ খুলে কোনও খবর পড়ে বা ছবি দেখে চমকে উঠতে হয় বৈকি! কখনও সেই খবর ভাল। কখনও আবার খারাপ খবর। কিন্তু কাগজ খুলে এর আগে হয়তো অন্য কোনো কারণে পাঠকদের চমকে উঠতে হয়নি। কিন্তু এখন সারা বিশ্বে পরিস্থিতি একেবারে আলাদা। চারপাশে এমন অনেক কিছুই ঘটছে যা এর আগে হয়নি। সংবামাধ্যমের ক্ষেত্রেও তেমন অনেক কিছুই ঘটছে। এই যেমন করোনা পরিস্থিতিতে দেশের অনেক সংবাদমাধ্যমের কর্মীরা বাড়ি থেকে কাজ করতে বাধ্য হয়েছেন। সাংবাদিকতায় ওয়ার্ক ফ্রম হোম করাটা কঠিন। কিন্তু পরিস্থিতির চাপে কঠিন কাজ করতে হয়েছে অনেক সংবাকর্মীকে। আর এবার তেমনই আরেক অভূতপূর্ব ঘটনার সাক্ষী থাকল গোটা দেশ। একটি উর্দু খবরের কাগজ পাঠকদের জন্য মাস্ক পাঠাল অনন্য উপায়ে।
জম্মু ও কাশ্মীরের স্থানীয় উর্দু দৈনিক সংবাদপত্র ‘রোশনি’ পাঠকদের জন্য মাস্ক পাঠিয়েছিল প্রথম পাতায় সাঁটিয়ে। সঙ্গে লেখা ছিল- এই পরিস্থিতিতে মাস্ক পরাটা গুরুত্বপূর্ণ। শ্রীনগর থেকে প্রকাশিত হয় সেই সংবাদপত্র। সেই দৈনিকের সম্পাদক জহুর শোরা বলেছেন, "আমরা পাঠকদের সচেতন করতে চেয়েছি। এই লড়াইয়ে সংবাদমাধ্যমের ভূমিকাও গুরুত্বপূর্ণ। তাই আমরা পাঠকদের কাছে মাস্ক পৌঁছে দিয়েছি সচেতনতার বার্তা হিসাবে। পাঠকরা আমাদের এই উদ্যোগ পছন্দ করবেন বলে আশা রাখি।" শুধুমাত্র রোশনি পত্রিকার পাঠকরাই নন, গোটা দেশের বহু মানুষ এই দায়িত্বশীল উদ্যোগকে সাধুবাদ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন- "রাস্তায় পুলিসি টহল দিচ্ছে চিতা বাঘ!"দেখুন সেই চোখ ধাঁধানো ভিডিয়ো
দেশের করোনা পরিস্থিতি উদ্বেগজনক জায়গায় পৌঁছেছে। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, অতিমারিতে মাস্ক ব্যবহার আবশ্যিক। তবু এখনও কিছু মানুষ সরকারি নির্দেশ ও নিজের সুরক্ষার দিক উপেক্ষা করে মাস্ক ছাড়া রাস্তায় বেরোচ্ছেন। এতে তাঁরা নিজেকে তো ঝুঁকির মধ্যে ফেলছেন-ই, অন্যের স্বাস্থ্য সুরক্ষার দিকটিও ক্ষুন্ন করছেন। এই পরিস্থিতিতে প্রতিটি মানুষ যদি মাস্ক ব্যবহার করেন এবং শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে পারেন তবে পরিস্থিতি শোধরাতে পারে। না হলে একজন মাস্ক না পরা মানুষ অনায়াসে আরেকজন মাস্ক ব্যবহার করা ব্যক্তিকেও সংক্রমিত করতে পারেন।