UP Doctor Kills Wife: স্ত্রীকে মেরে ৪০০ কিলোমিটার দূরে সত্কার করলেন ডাক্তার, ছকে গলদ ছিল একটি জায়গায়
পুলিসের জেরায় সবকিছু কবুল করেছেন বাপ-বেটা। তাদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা করা হয়েছে। লখিমপুর খরি পুলিস সূত্রে খবর, ২৭ নভেম্বর বন্দনা বাড়ি থেকে উধাও হয়ে গিয়েছে বলে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: দিল্লিতে শ্রদ্ধা ওয়াকারকে খুন করে দেহ ৩৫ টুকরো করেছিল তার লিভ ইন পার্টনার আফতাব পুনাওয়ালা। এবার উত্তরপ্রদেশের এক চিকিত্সক তার ডাক্তার স্ত্রীকে খুন করে লাশ গায়েব করতে পাড়ি দিলেন ৪০০ কিলোমিটার পথ। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। লখিমপুর খেরির ওই চিকিত্সককে গ্রেফতার করেছে পুলিস। তার পরেই বেরিয়ে এসেছে গোটা ঘটনা।
আরও পড়ুন-হাবরায় রেলবস্তিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, বন্ধ ট্রেন চলাচল
টানা ৮ বছরের বিবাহিত জীবন। সমস্যার শুরু নিজেদের হাসপাতালকে নিয়ে। নভেম্বর মাসের ২৬ তারিখে স্ত্রী বন্দনা অবস্তিকে খুন করেন তার স্বামী অভিষেক অবস্তি। এরপর লখিমপুর খেরি থেকে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার দূরে নিয়ে গিয়েছিলেন শেষকৃত্য করতে। এমনটাই জানিয়েছেন লখিমপুর খেরির এএসপি অরুণ কুমার সিং।
কীভাবে খুন? পুলিস সূত্রে খবর, গত ২৬ নভেম্বর পারিবারিক বিষয় নিয়ে বন্দনার সঙ্গে অভিষেকের ঝগড়া বেধে যায়। সেই সময় বাবাকে সঙ্গে নিয়ে কোনও ভারী বস্তু দিয়ে বন্দনার মাথায় আঘাত করেন অভিষেক। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় বন্দনার। এরপর লাশ গুম করার পালা। অভিষেক অ্যাম্বুল্য়ান্সে ফোন করেন। গাড়ি চালককে বলেন, ওই মৃতদেহের দ্রুত সত্কার করতে হবে। সেই অ্যাম্বুল্যান্সের সহায়তায় দেহ বাড়ি থেকে ৪০০ কিলোমিটার দূরে ঘরমুক্তেশ্বরে নিয়ে গিয়ে সত্কার করে দেওয়া হয়। পাশাপাশি থানায় গিয়ে বন্দনা নিখোঁজ বলে একটি অভিযোগও দায়ের করা হয়। কিন্তু গোটা ঘটনায় ফাঁক থেকে যায় ওই অ্য়াম্বুল্যান্স ডাকাতেই। অ্যাম্বুল্য়ান্সের চালককে জেরা করতেই বেরিয়ে এল সবকিছু।
লখিমপুর খেরির এএসপি সংবাদমাধ্যমে জানান, ২০১৪ সালে অভিষেকের সঙ্গে বিয়ে হয় বন্দনার। দুজনেই আয়ুর্বেদিক চিকিত্সক। লখিমপুর খেরির সীতাপুর রোডে গৌরী চিকিত্সালয় নামে একটি আয়ুর্বেদিক হাসপাতালও খোলেন দুজনে। সম্প্রতি দুজনের মধ্যে সংঘাত তৈরি হয়। তার পরেই চামালপুরে লক্ষ্মী নারায়ণ হাসপাতাল নামে একটি জায়গায় প্র্যাকটিস শুরু করেন।
পুলিসের জেরায় সবকিছু কবুল করেছেন বাপ-বেটা। তাদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা করা হয়েছে। লখিমপুর খরি পুলিস সূত্রে খবর, ২৭ নভেম্বর বন্দনা বাড়ি থেকে উধাও হয়ে গিয়েছে বলে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। অভিযোগ করা হয়, বেশকিছু দামী জিনিসপত্র নিয়ে বন্দনা বাড়ি থেকে চলে গিয়েছে। তবে ওই অভিযোগের পরই অভিষেক ও তার পরিবারের উপরে নজর রাখতে শুরু করে পুলিস।