তাজমহলের এটা নিশ্চয়ই জানেন না, এবার জেনে সামনের বার অবশ্যই যাবেন

ওয়েব ডেস্ক: আজই ছিল শেষ দিন। হয়তো আর যেতে পারবেন না। কিন্তু জেনে রাখলে, পরের বছর অবশ্যই যেতে পারবেন। কিন্তু কোথায় সেটা তো জানবেন? বিষয় তাজমহল। তাজমহলে শুধুমাত্র বছরের এই সময়টাতেই নাকি তিনি দেখা দেন। তাও আবার সস্ত্রীক। তাজ মহলের অভ্যন্তরে থাকা সমাধির দরজা খুলে দেওয়া হয়। সাধারণ মানুষ একেবারে সামনে চলে যেতে পারেন সমাধি-শায়িত শাহানশাহ আর বেগমের কাছে।আসলে, এটা মুঘল সম্রাট শাহজাহান-এর জন্মমাস। যাকে উর্দুতে বলা হয় 'অর্স'। এই 'অর্স' তিথি পালনের জন্যই মাত্র তিনটি দিনে শাহজাহান আর মমতাজ মহলকে সমাধির কাছে গিয়ে শুভেচ্ছা জানাতে পারেন সাধারণ মানুষ।

এই বছর গত ৩ মে থেকে একটানা তিন দিন, মানে ৫ তারিখ পর্যন্ত সমাধির দরজা সাধারণের জন্য উন্মুক্ত ছিল। ৩ এবং ৪ তারিখে দুপুর ২টো থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত দর্শকরা সমধির কাছে যেতে পেরেছেন। শেষ দিন, অর্থাৎ ৫ তারিখে একেবারে সকাল থেকেই তাঁরা প্রবেশ করতে পেরেছেন সমাধি-কক্ষে। শাহজাহানের এই জন্মতিথি পালনের নিজস্ব কিছু রীতি আছে। সবার প্রথমে পালিত হয় 'গোসল কি রসম'। শাহানশাহকে স্নান করানোর পরে শুরু হয় 'সন্দল কি রসম' বা চন্দন লেপন। তার পরেই সমাধিকে সাজানো হয় ফুলে, যাকে বলা হয় 'গুল কি রসম'। সবার শেষে সম্মানার্থে সমাধির উপরে বিছিয়ে দেওয়া নানা রঙের এক দীর্ঘ চাদর। এই প্রথাকে বলা হয় 'চাদর পোশি'। 'চাদর পোশি'-র এক বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যে চাদর দিয়ে ঢেকে দেওয়া হবে সমাধি, তার রঙের বাহার লক্ষ্য করার মতো। আলাদা আলাদা রং এক্ষেত্রে ভারতের সব শ্রেণির, সব ধর্মের মানুষের প্রতীক।
প্রতি বছরেই একটু একটু করে বাড়ানো হয় তার দৈর্ঘ্য। গত বছরে যেমন চাদরটি ছিল ৮১০ ফুট লম্বা। এবারে তা হয়েছে ৮৭০ ফুট লম্বা।

English Title: 
unknown fact about tajmahal
News Source: 
Home Title: 

তাজমহলের এটা নিশ্চয়ই জানেন না, এবার জেনে সামনের বার অবশ্যই যাবেন

 তাজমহলের এটা নিশ্চয়ই জানেন না, এবার জেনে সামনের বার অবশ্যই যাবেন
Yes
Is Blog?: 
No
Section: