সন্ত্রাসে জড়িত কোনও ব্যক্তিকে প্রয়োজনে জঙ্গি ঘোষণা করা হবে, আরও কঠোর আইনে সায় লোকসভার
কংগ্রেসকে নিশানা করে শাহ বলেন, এটি আনা হয় ১৯৬৭ সালে। কেন্দ্রে তখন কংগ্রেস সরকার
নিজস্ব প্রতিবেদন: লোকসভায় পাস হয়ে গেল আনলফুল অ্যাক্টিভিটি প্রিভেনশন সংশোধনী বিল। বিলের পক্ষে ভোট পড়ে ২৮৪টি, বিপক্ষে পড়ে মাত্র ৮ ভোট। জঙ্গি কার্যকলাপে জড়িত কোনও ব্যক্তিকে জঙ্গি বলে ঘোষণা করা যাবে এই আইনে।
আরও পড়ুন-বহুল ব্যবহৃত ৬০০০ টাকার ডিটারজেন্টের সঙ্গে স্কুটার ফ্রি! বিশ্বাস করে ঠকলেন গৃহবধূ
বিলটির প্রতিবাদ করে ওয়াক আউট করেন কংগ্রেস সংসদরা। বিলটি নিয়ে বিরোধীদের নিশানা করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি বলেন, সরকার জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। তাতে কোন সরকার ক্ষমতায় রয়েছে তা বড় বিষয় নয়।
Home Min Amit Shah in LS on Unlawful Activities (Prevention) Amendment Act Bill: There's a need for a provision to declare an individual as a terrorist, UN has a procedure for it, US has it, Pakistan has it, China has it, Israel has it, European Union has it, everyone has done it pic.twitter.com/lJMSbFe6L5
— ANI (@ANI) July 24, 2019
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ইউপিএ আমলে আমরা বলেছি সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আইন কঠোর হওয়া উচিত। আজ সরকারে বসেও বলছি সন্ত্রাস বিরোধী আইন কঠোর হওয়া প্রয়োজন। এই আইন আমরা আনিনি।
আরও পড়ুন-মোবাইলে চার্জ দিতে দিতে কথা, আগুন লেগে 'ঝলসে গেলেন' যুবতী
কংগ্রেসকে নিশানা করে শাহ বলেন, এটি আনা হয় ১৯৬৭ সালে। কেন্দ্রে তখন কংগ্রেস সরকার, ইন্দিরাজি প্রধানমন্ত্রী। প্রথমবার সংশোধন করা হয় ২০০৪ সালে। মনমোহন সিং তখন ক্ষমতায়। ২০০৮ সালে দ্বিতীয়বার ও ২০১৩ সালে তৃতীয় সংশোধন করা হয় এই আইন। তখনও কংগ্রেস ক্ষমতায়। তাহলে কারা এই আইনকে কঠিন করেছে? আমি স্বীকার করেছি তখন আপনারা ঠিক করেছিলেন। আর এখন আমরাও ঠিকই করছি।
কেন কোনও ব্যক্তিকে জঙ্গি ঘোষণা করা জরুরি? স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘কোনও ব্যক্তিকে জঙ্গি ঘোষণা করার প্রয়োজন রয়েছে। এর জন্য প্রয়োজনীয় পদ্ধতি তৈরি করেছে রাষ্ট্রসংঘ, পাকিস্তানে এই আইন রয়েছে, চিনে আছে, ইজরায়েলে রয়েছে, ইয়োরোপিয় ইউনিয়ন এই আইন করেছে।’