ধর্মঘটের সমর্থনে মিছিল শিলিগুড়িতে, গ্রেফতার মেয়র অশোক, দেশজুড়ে সাধারণ ধর্মঘট
ধর্মঘটের সমর্থনে মিছিল বের করায় শিলিগুড়িতে গ্রেফতার বেশ কয়েকজন বাম নেতা। সকালে মেয়র অশোক ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে অনিল বিশ্বাস ভবন থেকে মিছিল বের করেন বাম কর্মী সমর্থকরা। মিছিলে ছিলেন সিপিএম নেতা জীবেশ সরকার, সিটু জেলা সম্পাদক সমন পাঠক, CPIML নেতা অভিজিত্ মজুমদার সহ আরও অনেকে। কিছুদূর যাওয়ার পরই মিছিল আটকায় পুলিস। প্রতিবাদে রাস্তায় বসে পড়েন বাম নেতারা। তখনই পুলিস শিলিগুড়ির মেয়র অশোক ভট্টাচার্য সহ জীবেশ সরকার, সমন পাঠক, অভিজিত্ মজুমদারদের গ্রেফতার করে।
ওয়েব ডেস্ক: ধর্মঘটের সমর্থনে মিছিল বের করায় শিলিগুড়িতে গ্রেফতার বেশ কয়েকজন বাম নেতা। সকালে মেয়র অশোক ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে অনিল বিশ্বাস ভবন থেকে মিছিল বের করেন বাম কর্মী সমর্থকরা। মিছিলে ছিলেন সিপিএম নেতা জীবেশ সরকার, সিটু জেলা সম্পাদক সমন পাঠক, CPIML নেতা অভিজিত্ মজুমদার সহ আরও অনেকে। কিছুদূর যাওয়ার পরই মিছিল আটকায় পুলিস। প্রতিবাদে রাস্তায় বসে পড়েন বাম নেতারা। তখনই পুলিস শিলিগুড়ির মেয়র অশোক ভট্টাচার্য সহ জীবেশ সরকার, সমন পাঠক, অভিজিত্ মজুমদারদের গ্রেফতার করে।
এদিকে সিঙ্গুর দিবস উপলক্ষে আজ শিলিগুড় শহরে মিছিল করে তৃণমূলও। কড়া পুলিসি প্রহরায় শাসক দলের কর্মী সমর্থকদের মিছিল সিপিএম ভবনের সামনে দিয়ে যায়। এ ঘটনাকে ঘিরে সেবক রোড এবং হিলকার্ট রোডে সকাল থেকে ছিল টান টান উত্তেজনা। তবে এখনও কোথাও কোনও অপ্রীতিকর ঘটনার খবর নেই।
কোচবিহার
ধর্মঘটকারীরা ভাঙচুর চালালো NBSTC বাসে। ধর্মঘট ঘিরে অশান্তির খবর এল কোচবিহার থেকে। দুটি সরসকারি বাস ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল ধর্মঘটকারীদের বিরুদ্ধে। ওই ঘটনায় মোট চার জন ধর্মঘট সমর্থককে গ্রেফতার করে পুলিস।
অভিযোগ, কোচবিহার শহরে উত্তরবঙ্গ পরিবহণ নিগমের বাস স্ট্যান্ডের বাইরে বেরনোর পরই প্রথম বাসটিতে ভাঙচুর চলে। খাগড়াবাড়ির কাছে শিলিগুড়ি গামী বাসটির উইন্ড স্ক্রিন ভেঙে দেওয়া হয়। এরপর আরও একটি শিলিগুড়ি গামী বাসকে ইন্দিরাদেবী স্কুলের সামনে আটকে দেয় ধর্মঘটীরা। সেখানে বাসটিতে ভাঙচুর করা হয়। পুলিস ঘটনাস্থলে গিয়ে ধর্মঘটীদের গ্রেফতার করে।
রেল
সাধারণ ধর্মঘটে প্রভাব পড়ল রেল চলাচলেও। ওড়িশার বালেশ্বরে ধর্মঘটিরা রেল অবরোধ করে। এর জেরে হাওড়া থেকে দক্ষিণ-পূর্ব শাখায় ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
মধ্যমগ্রাম
ধর্ঘঘট সমর্থক আর বিরোধীদের যুযুধান মিছিলঘিরে উত্তেজনা ছড়াল মধ্যমগ্রামে। এদিন সকালে হুমায়পুর থেকে মধ্যমগ্রাম স্টেশন পর্যন্ত মিছিল বের করে ধর্মঘট সমর্থকরা। মিছিল চৌমাথায় পৌছলে উল্টোদিক থেকে ধর্মঘট বিরোধীদের একটি মিছিলের মুখোমুখি হয়। এরপরই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত বিশাল পুলিসবাহিনী পরিস্থিতি সামাল দেয়।
বাঁকুড়া
বাঁকুড়ায় ধর্মঘটের মিশ্র সাড়া পড়েছে। সরকারি ও বেসরকারি বাস চলাচল করলেও, যাত্রী নেই। ট্রেন চলাচল করছে স্বাভাবিকভাবেই। ছোট গাড়ি চলাচল করছে। রাস্তায় মানুষ কম থাকলে, মোড়ে মোড়ে প্রচুর পুলিস মোতায়েন রয়েছে।
শিলিগুড়ি
ধর্মঘটের মিশ্র প্রভাব পড়েছে শিলিগুড়িতেও। সেবক রোড, বিধান মার্কেট, হিল কার্ট রোডের দোকান পাট পুরো বন্ধ। কিছু গাড়ি রাস্তায় চলাচল করলেও যাত্রী কম। ভেনাস মোড় ছাড়া সেভাবে পুলিসের দেখা নেই।
মালদা
সাধারন ধর্মঘটে অশান্তি রুখতে কড়া পুলিসি ব্যবস্থা চোখে পড়ল মালদায়। শহরের বিভিন্ন জায়গায় মোতায়েন রয়েছে প্রচুর পুলিস। রাস্তায় বেসরকারি বাস কম নামলেও সরকারি বাস চলছে অন্যান্য দিনের মতোই। ট্রেন চলাচলও রয়েছে স্বাভাবিক।এখনও পর্যন্ত কোথায় কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর নেই।
১৪ দফা দাবিতে সিটু সহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নগুলির ডাকে আজ দেশজুড়ে সাধারন ধর্মঘট। এরাজ্যে ধর্মঘট সফল করতে সক্রিয় বামেরা। সকাল থেকে রাস্তায় থাকবেন সূর্যকান্ত মিশ্র, বিমান বসু, সুজন চক্রবর্তী, শ্যামল চক্রবর্তীরা। অন্যদিকে ধর্মঘট ব্যর্থ করতে মরিয়া তৃণমূল সরকার। শহরের মোট ৩৫৭টি জায়গায় বসেছে পুলিস পিকেট। মোতায়েন তিন হাজার পুলিসকর্মী।
প্রতিটি বাস ডিপো, মেট্রো স্টেশন,ফেরিঘাটে পুলিস পিকেট। শহরের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় কড়া পুলিসি প্রহরার ব্যবস্থা। যে কোনও ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা রুখতে প্রতিটি থানায় রিজার্ভ ফোর্স মোতায়েন। এখানেই শেষ নয়। ধর্মঘট মোকাবিলায় নয়া আইন আনতে চায় রাজ্য সরকার। ধর্মঘটের সময় কোনও ভাঙচুর হলে, ক্ষতিপূরণ দিতে হবে অভিযুক্তকেই।