সত্ বাবার নৃশংস অত্যাচার, মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে ৩ বছরের শিশু
ফলকের পর এবার সত্ বাবার পৈশাচিক নির্যাতনের স্বীকার ৩ বছরের একটি শিশুকে ভর্তি করা হল যোধপুরের উমেদ হাসপাতালে। চিকিত্সকরা জানিয়েছেন, সারা গায়ে সিগারেটের ছ্যাঁকা ও মানুষের কামড়ে ক্ষতবিক্ষত ওই শিশুটির শারিরিক অবস্থা অত্যন্ত সঙ্কটজনক।
ফলকের পর এবার সত্ বাবার পৈশাচিক নির্যাতনের স্বীকার ৩ বছরের একটি শিশুকে ভর্তি করা হল যোধপুরের উমেদ হাসপাতালে। চিকিত্সকরা জানিয়েছেন, সারা গায়ে সিগারেটের ছ্যাঁকা ও মানুষের কামড়ে ক্ষতবিক্ষত ওই শিশুটির শারিরিক অবস্থা অত্যন্ত সঙ্কটজনক। রাখা হয়েছে আইসিইউ-তে। শিশুটির মাথা ও পায়ের হাড়ে বেশ কয়েকটি চিড় রয়েছে। প্রচন্ড শারিরিক ও মানসিক অত্যাচারে শিশুটির স্নায়ু রোগ হয়ে গিয়েছে বলেও জানিয়েছেন চিকিত্সকরা।
পুলিস জানিয়েছে, শনিবার সকালে ওই শিশুকে হাসপাতালে ভর্তি করতে এসে শিশুটির মা জানান, সত্ বাবা কৈলাশ জৈনের প্রচন্ড অত্যাচারেই তাঁর সন্তানের এই অবস্থা। কৈলাশকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এবং তার বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে।
পুলিসকে আহত শিশুটির মা নিধি জানান, ২০০১-এ কৈলাশ জৈনের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই তাঁর উপর শারিরিক ও মানসিক অত্যাচার শুরু করে কৈলাশ। অত্যাচারের মাত্রা এক সময় চরম পর্যায়ে উঠলে ৪ বছর পর, যোধপুরে তাঁর বাপেরবাড়ি ফিরে যান তিনি। এরপর ২০০৭-এ দ্বিতীয় বিয়ে করেন নিধি। তার একটি সন্তানও হয়। কিন্তু দ্বিতীয় স্বামীর সঙ্গেও কিছুদিন পর বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায় তাঁর। এরপর কিছু দিন বাদে নিধিকে তাঁর সন্তান-সহ বাপের বাড়ি থেকে ফিরিয়ে নিয়ে যায় তাঁর প্রথম স্বামী কৈলাশ। এবং প্রতিশ্রুতি দেয় যে, আর কোনও দিন তাঁকে অত্যাচার করবে না। পরে সেই কথা রাখেনি কৈলাশ। দিন কয়েক পর থেকেই তাঁর ও তাঁর সন্তানের উপর ফের চরম অত্যাচার শুরু হয় বলে জানিয়েছেন নিধি। শিশুটির আপাতত মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে বলে জানিয়েছেন চিকিত্সকরা।
প্রসঙ্গত, এই একই রকম ভাবে অত্যাচার করা হয় ২ বছরের ফলকের উপরেও। প্রবল সঙ্কটজনক অবস্থায় এখনও তার চিকিত্সা চলছে এইমস ট্রমা সেন্টারে।