লকডাউনে লোকসান ৫০০ কোটির দান, তিরূপতি মন্দির খুলতেই ধনবর্ষা ভক্তদের
২০ জুন থেকে বন্ধ ছিল তিরূপতি বালাজি মন্দির। খোলা হয় ৮ জুন।
নিজস্ব প্রতিবেদন: লকডাউনের জেরে প্রায় ৮০দিন ধরে বন্ধ ছিল তিরূপতি বালাজি মন্দির। আনলকের প্রথম পর্যায়ে মিলেছে মন্দির খোলার অনুমতি। আর বালাজির দরজা খুলতেই শুরু হয়ে গিয়েছে 'ধনবর্ষা'। ১১ জুন সকলের জন্য খুলে দেওয়া হয় দরজা। ৩ দিনেই উঠেছে ৬৫ লক্ষের বেশি দান।
২০ জুন থেকে বন্ধ ছিল তিরূপতি বালাজি মন্দির। খোলা হয় ৮ জুন। তবে প্রথম ৩ দিন বাইরের ভক্তদের জন্য প্রবেশাধিকার ছিল না। মন্দিরের পূজারি ও কর্মীদের পরিবারই অনুমতি পেয়েছিলেন। ৮ জুন দানের অর্থ ২৫ লক্ষ টাকা। ১০ জুন মন্দিরের কর্মচারী ও তাঁদের পরিজনরা দান করেছেন ২০ লক্ষ টাকা। মন্দিরের মুখপাত্রের দাবি, আমাদের কর্মীরাই লক্ষাধিক টাকা দান করেছেন। এটা ঈশ্বরকে দান। এর সঙ্গে জড়িয়ে আস্থা। আর্থিক মাপকাটিতে মাপবেন না। এরপর ১১ জুন হুন্ডি থেকে এসেছে ৪২ লক্ষ ৮৮ হাজার টাকা।
তিরূপতি বালাজি ট্রাস্ট রয়েছেন প্রায় ২১ হাজার কর্মী। ৮,৫০০ জন্য সরাসরি নিযুক্ত। বাকিরা চুক্তিভিত্তিক বা ঠিকাদারি সংস্থার অধীনস্থ। মন্দিরের সাফাইয়ের জন্যেই রয়েছেন ১৫০০ কর্মী।
লকডাউনের জেরে মন্দিরের দানে লোকসান হয়েছে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা। এই মন্দিরে প্রতি মাসে জমা পড়ে প্রায় ২২০ কোটি টাকা। এর মধ্যে বেশিরভাগটাই আসে হুন্ডি থেকে। অঙ্কটা ১৭০ কোটি। ২০১৯ সালে হুন্ডি থেকে মন্দিরের আয় ১১০০ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন- বাড়িতে বসেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইনাল সেমিস্টার, ৪টি বিকল্পে মূল্যায়ন