চোরাশিকারীদের কারণে বাঘ মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা

বিশ্বজুড়ে বাড়ছে বাঘের সংখ্যা। অথচ একেবারে উল্টো ছবি এদেশে। চলতি বছর অক্টোবর পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৭৬টি রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের। গতবছর সংখ্যাটা ছিল উনসত্তর। উদ্বেগজন এই তথ্য প্রকাশ করেছে টাইগারনেট। চোরাশিকারীদের ওপর নজরদারি ঠিক মত না হলে, বাঘ মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

Updated By: Nov 7, 2016, 08:56 PM IST
চোরাশিকারীদের কারণে বাঘ মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা

ওয়েব ডেস্ক: বিশ্বজুড়ে বাড়ছে বাঘের সংখ্যা। অথচ একেবারে উল্টো ছবি এদেশে। চলতি বছর অক্টোবর পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৭৬টি রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের। গতবছর সংখ্যাটা ছিল উনসত্তর। উদ্বেগজন এই তথ্য প্রকাশ করেছে টাইগারনেট। চোরাশিকারীদের ওপর নজরদারি ঠিক মত না হলে, বাঘ মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

সুখবরটা এসেছিল বছরের শুরুর দিকে। ১০০ বছরের মধ্যে এই প্রথম বিশ্বজুড়ে বাঘের সংখ্যা উর্ধ্বমুখী। কিন্তু ভাল খবরের রেশ কাটতে না কাটতেই তাল কাটল টাইগার নেটের রিপোর্টে।

আরও পড়ুন লজ্জা শুধু নারীর ভূষণ, পুরুষের ভূষণ তো নির্লজ্জ হওয়া!

২০১৬ সালে জানুয়ারি থেকে অক্টোবরের মধ্যে এদেশে মৃত্যু হয়েছে ছিয়াত্তরটি রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের। মৃত্যুর হার গত ৬বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। তালিকায় শীর্ষে মধ্যপ্রদেশ। যদিও সেরাজ্যেই খোদ পর্যটনের অন্যতম পোস্টার বয় - রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার। বাঘ মৃত্যুতে দ্বিতীয় স্থানে কর্নাটক।

ন্যাশনাল টাইগার কনসার্ভেশন অথরিটি এবং ট্রাফিক ইন্ডিয়ার এই যৌথ রিপোর্টে চোরা শিকারের মেঘ দেখছেন ওয়াল্ডলাইফ অ্যাকটিভিস্টরা। সাম্প্রতিককালে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে উদ্ধার হওয়া বাঘের দেহাংশ এখন তাঁদের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

৭৬টি বাঘমৃত্যুর ঘটনায় ৪১টির তদন্ত এখনও চলছে। বাকি মৃত্যুর পিছনে মানুষের পরোক্ষ বা প্রত্যক্ষ ভূমিকা ইতিমধ্যেই প্রমাণিত। তা সে চোরাশিকার হোক বা বিষ প্রয়োগ কিম্বা বিদ্যুত্‍স্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু।

আরও পড়ুন পে কমিশন ছাড়াই এই কর্মীদের বেতন ১০০ শতাংশ বাড়বে!

ট্রাফিক ইন্ডিয়ার প্রধান শেখর কুমার নিরজের মতে, এ বছর পরিস্থিতি আরও চিন্তার। গতবছরের তুলনায় এবছর যেভাবে মৃত্যুর হার ও দেহাংশ উদ্ধারের ঘটনা বেড়েছে, তা উদ্বেগজনক। মহারাষ্ট্রের তাডোবা এবং মেলঘাট অঞ্চলে চোরাশিকারের হার বরাবরই বেশি। মহারাষ্ট্রের প্রতিবেশী রাজ্য মধ্যপ্রদেশ। সেখানে চোরাশিকার ও মৃত্যুর হার সর্বোচ্চ।

যদিও কোনও কোনও বন্যপ্রাণ বিশেষজ্ঞ মনে করেন, ঘন ঘন দেহাংশ উদ্ধারের ঘটনা আসলে প্রশাসনের নজকদারির সুফল। তবে আশার কথা এটাই যে সুন্দরবন অঞ্চলে এ সময় ম্যান-মেড বাঘমৃত্যুর ঘটনা নথিভুক্ত হয়নি।

.