Tejashwi Yadav: এবার তেজস্বী যাদবকে তলব! জমি-দুর্নীতি মামলায় তাঁকে ডেকে পাঠাল সিবিআই...
CBI summoned Tejashwi Yadav: রাজনৈতিক প্রতিহিংসা? নোংরা খেলা? কানাঘুষো সেরকমই কিন্তু শোনা যাচ্ছে। সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক মহল বিষয়টি নিয়ে যথেষ্ট ক্ষুব্ধ। বিজেপির চোখে চোখ-রাখা তেজস্বীর দিকেও এবার নিরন্তর ধেয়ে যাবে তাঁকে বিরক্ত করার নানা অস্ত্র।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: এবার তেজস্বী যাদবকে তলব করল সিবিআই। আজ, শনিবারই তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়েছে জমি-দুর্নীতি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য। এর আগে লালু প্রসাদ যাদবকে জিজ্ঞাসাবাদ করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। জমির বিনিময়ে চাকরি দেওয়ার অভিযোগে লালুর পরিবারের সদস্যদের বাড়িতে ইডি হানা। তেজস্বী ও লালুর মেয়েদের বাড়িতেও ইডি হানা। দাবি, সেই অভিযানে উদ্ধার প্রচুর পরিমাণ সোনা, বেশ কিছু নথি।
আরও পড়ুন: Anubrata Mondal: খাবার এল বার্গার, সুগার ফ্রি কফি! ইডি দফতরে কেষ্টর পাতে ডাল-ভাত-আলুপোস্তও
'জমির বদলে চাকরি' দুর্নীতিতে প্রবল চাপে যাদব পরিবার। বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব-কে ফের সমন পাঠাল সিবিআই। শনিবার সকালেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে জমির বদলে চাকরি দুর্নীতি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য় ফের তলব করা হল তেজস্বী যাদবকে। বৃহস্পতিবারই তেজস্বী যাদবের দিল্লির বাড়িতে হানা দিয়েছিল ইডি। শনিবার সমন পাঠানো হল। এর আগে গত ৪ মার্চ সিবিআইয়ের তরফে জমির বদলে চাকরি দুর্নীতি মামলায় জেরার জন্য হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সেই সময়য় হাজিরা দেননি তেজস্বী। তেজস্বী যাদব আজও হাজিরা দেবেন কি না, তা অবশ্য স্পষ্ট হয়নি।
আরও পড়ুন: Ritesh Agarwal: ছেলের বিয়ের দু'দিন পরেই বহুতল থেকে পড়ে রহস্যমৃত্যু OYO কর্ণধারের বাবার
এক সপ্তাহ ধরে বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদব, তাঁর স্ত্রী রাবড়ি দেবীর বাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। তেজস্বী যাদবের দিল্লির বাড়িতেও গতকাল হানা দেয় ইডি। সকাল সাড়ে ৮টা থেকে তল্লাশি অভিযান শুরু হয়। ঘণ্টাখানেক ধরে তল্লাশি চলে।
জানা গিয়েছে, সিবিআইয়ের চার্জশিট অনুযায়ী, ২০০৪ সাল থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে এই দুর্নীতি হয়। ভারতীয় রেলওয়ের অধীনে থাকা দুটি হোটেল প্রথমে আইআরসিটিসির হাতে তুলে দেওয়া হলেও, পরে তা পটনার একটি বেসরকারি সংস্থাকে লিজ দেওয়া হয়। পরে তদন্তে নেমে জানা যায়, জলের দরে বা উপহার হিসাবে জমি দেওয়ার পরিবর্তে ভারতীয় রেলওয়েতে চাকরির সুযোগ দেওয়া হত। যাদব পরিবার ও তাদের ঘনিষ্ঠরাই এই দুর্নীতিতে উপকৃত হয়েছিলেন। ২০০৪ সাল থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে হওয়া এই দুর্নীতির তদন্তই নতুন করে শুরু করেছে সিবিআই-ইডি।