পাক ফৌজের দাপট কমাতে কূটনৈতিক প্রক্রিয়া চান শশী থারুর

স্যার সিরিল র‌্যাডক্লিফ লাইনের ওপারে থাকা প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতির ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় অন্তরায় `সন্ত্রাস`! নিজের নতুন বই `প্যাক্স ইন্ডিকা`-তে স্পষ্ট ভাষায় এই মতামত ব্যক্ত করলেন শশী থারুর।

Updated By: Jul 14, 2012, 07:42 PM IST

স্যার সিরিল র‌্যাডক্লিফ লাইনের ওপারে থাকা প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতির ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় অন্তরায় `সন্ত্রাস`! নিজের নতুন বই `প্যাক্স ইন্ডিকা`-তে স্পষ্ট ভাষায় এই মতামত ব্যক্ত করলেন শশী থারুর।
ভারতের প্রাক্তন বিদেশ প্রতিমন্ত্রীর মতে, অতীতে অটলবিহারী বাজপেয়ী থেকে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং, যখনই ইসলামাবাদের সঙ্গে শান্তি প্রক্রিয়ার গতি এগোতে চেয়েছেন, ঠিক তখনই বিশ্বাসঘাতকতা আর নাশকতার কালো ছায়া তার গতিরোধ করেছে। ১৯৯৯ থেকে ২০০৮, কারগিল কাণ্ড থেকে ২৬/১১ হামলার ঘটনা এরই ইঙ্গিতবাহী। কিন্তু তা বলে পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনার দরজা বন্ধ করার উদ্যোগে সায় নেই তিরুঅনন্তপুরমের কংগ্রেস সাংসদের। রাষ্ট্রসঙ্ঘের উপমহাসচিব পদে কাজ করার অভিজ্ঞতা সম্পন্ন থারুর মনে করেন, দু`দেশের পারস্পরিক সম্পর্কের উন্নতির একটি `ধারাবাহিক প্রক্রিয়াগত প্রচেষ্টা`।

দ্বিপাক্ষিক সুসম্পর্ক স্থাপনের পথে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর ভূমিকা যে বড় প্রতিবন্ধক, সে কথাও জানিয়েছেন থারুর। তাঁর মতে, পাক জেনারেলদের হস্তক্ষেপেই বারবার এই দুই দেশের শান্তি প্রক্রিয়ার গতি ব্যাহত হচ্ছে। পাকিস্তানের সেনাবাহিনী কে বিশ্বের রাষ্ট্রীয় আনুকূল্যপ্রাপ্ত বাহিনী বলে মনে করেন তিনি। থারুরের মতে শুধু কাশ্মীর সমস্যা নয়, দু`দেশের এই সম্পর্কের উন্নতির জন্য প্রয়োজন জাতীয় চেতনারও। কারণ, শান্তি প্রতিহিংসার পথ বেয়ে আসবে না।
দক্ষিণ এশিয়ার দুই পরমাণু শক্তিধর প্রতিবেশীর কূটনৈতিক টানাপোড়েন ব্যাখ্যা করতে গিয়ে থারুরের কলমে উঠে এসেছে আমেরিকা এবং কানাডার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের কথা। তাঁর স্পষ্ট ইঙ্গিত, পেন্টাগনের তুলনায় সমারিক শক্তি অনেক কম হওয়ার কারণেই এক্ষেত্রে কূটনৈতিক ভারসাম্য বজায় থাকছে। ওয়াশিংটনের সঙ্গে সম্পর্ক নির্ধারণের ক্ষেত্রে অটোয়ার উপর নিয়ন্ত্রণ থাকছে না সে দেশের সশস্ত্র বাহিনীর। থারুরের মতে, পাকিস্তানের গণতান্ত্রিক সরকারের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে পারলে একইভাবে বিদেশনীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রে ক্রমশ অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যাবে পাক সেনার ভূমিকা।

.