তেলেঙ্গানা নিয়ে মিছিল শুরুর সঙ্গে সঙ্গেই উত্তপ্ত হায়দারাবাদ
রবিবার তেলেঙ্গানার দাবিতে একটি মিছিলের আগে গোটা হায়দারাবাদ জুড়ে নিরাপত্তা ব্যাবস্থা কড়াকড়ি করা করল অন্ধ্র রাজ্য পুলিস। তেলেঙ্গানা জয়েন্ট অ্যাকশন কমিটির (জ্যাক) তরফ থেকে ডাকা এই মিছিলটিতে তেলেঙ্গানা অঞ্চলের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বিপুল সংখ্যক মানুষের যোগদান করেছেন। সূত্র থেকে প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী কিছুক্ষণ আগে শুরু হওয়া এই মিছিলকে ঘিরে ইতিমধ্যেই উত্তেজনা শুরু হয়ে গেছে।
রবিবার তেলেঙ্গানার দাবিতে একটি মিছিলের আগে গোটা হায়দারাবাদ জুড়ে নিরাপত্তা ব্যাবস্থা কড়াকড়ি করা করল অন্ধ্র রাজ্য পুলিস। তেলেঙ্গানা জয়েন্ট অ্যাকশন কমিটির (জ্যাক) তরফ থেকে ডাকা এই মিছিলটিতে তেলেঙ্গানা অঞ্চলের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বিপুল সংখ্যক মানুষের যোগদান করেছেন। সূত্র থেকে প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী কিছুক্ষণ আগে শুরু হওয়া এই মিছিলকে ঘিরে ইতিমধ্যেই উত্তেজনা শুরু হয়ে গেছে।তাসমানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের সঙ্গে পুলিসের হাতাহাতির খবর পাওয়া গেছে। শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নেকলেস রোডের হুসেন সাগরে আসতে চাওয়া মানুষের সঙ্গে বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষে জড়িয়ে পরেছে পুলিস।
এই মিছিলে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা মানুষের অংশ্রগ্রহণ আটকাতে ইতিমধ্যে ১২টি এক্সপ্রেস এবং ২৫টি প্যাসেঞ্জার ট্রেন বাতিল করে দিয়েছে রেল দফতর। বাতিল করা হয়েছে তেলেঙ্গানার জেলা গুলো থেকে হায়দ্রাবাদ আসার লোকাল ট্রেন গুলোও। রেলওয়ের এরকম সিদ্ধান্তের পিছনে যে রাজ্য সরকারের হাত রয়েছে তা সহজেই অনুমেয়। জ্যাকের তরফ থেকে সরকারকে সরাসরি আক্রমণ করে বলা হয়েছে তেলেঙ্গানা আন্দোলনে বাধা সৃষ্টি করার সচেতন চেষ্টা করছে সরকার। তেলেঙ্গানার কংগ্রেস সাংসদরাও এর তীব্র বিরোধিতা করেছেন। রেল দফতর এবং রাজ্য সকারের কাছে এই নিয়ে তাঁরা লিখিত প্রতিবাদ জানিয়েছেন। জ্যাকের আহ্বায়ক এম কোডানডারাম অভিযোগ করেছেন মিছিলের আগেই অন্ধ্র পুলিস তেলেঙ্গানা আন্দোলনের কর্মীদের নির্বিচারে গ্রেফতার করছে। জ্যাকের নেতা-নেত্রীরা ইতমধ্যেই হায়দ্রাবাদের পুলিস কমিশনারের সঙ্গে দেখা করে এই গ্রেফতার বন্ধ করার দাবি জানিয়েছিলেন।
জ্যাক, সিপিআই, টিআরএস,বিজেপির সঙ্গেই তেলেঙ্গানার ছাত্র, শিক্ষক, আইনজীবি, সাংবাদিক, সরকারি কর্মচারীদের বিভিন্ন সংগঠন এই মিছিলে যোগ দিচ্ছেন। কংগ্রেসের ৮ জন সাংসদও এই মিছিলে অংশগ্রহণ করার কথা ঘোষণা করেছেন। গত কয়েকদিন ধরেই এই মিছিলের অনুমতিকে কেন্দ্র করে সরকার আর আন্দোলনকারীদের মধ্যে টানাপোড়েন চলছিল। অবশেষে গত শুক্রবার রাতে মিছিলের পুলিসি অনুমতি মেলে। তবে পুলিসের তরফ থেকে জানানো হয়েছে বুদ্ধ ভবন থেকে পিভি ঘাটের মধ্যে মিছিলকে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে। বিকেল ৩টে থেকে শুরু করে সন্ধ্যে ৭টার মধ্যে শেষ করে ফেলতে হবে এই মিছিল।