হিন্দুদের তুলনায় মুসলিমদের বাল্যবিবাহ, কিশোরীদের গর্ভধারণের হার ৩০% বেশি, দাবি পিটিশনে
ন্যাশনাল কমিশন ফর প্রোটেকশন অব চাইল্ড রাইটস (এনসিপিসিআর)-এর করা এক পিটিশনের প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্ট পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টের একটি নির্দেশ খতিয়ে দেখছে। এনসিপিসিআর জানিয়েছে, এই ঘটনা পকসো আইনের লঙ্ঘন এবং অপ্রাপ্তবয়স্কদের যৌন হেনস্থার বিষয়।
জি ২৪ ঘন্টা ডিজিটাল ব্যুরো: নাবালিকা বিবাহ নিয়ে সম্প্রতি একটি আদেশ জারি করেছিল পাঞ্জাব এবং হরিয়ানা কোর্ট। সেখানে মুসলিম অপ্রাপ্তবয়স্কাকে বিয়ের ক্ষেত্রে কোনও বাধা নেই, এমনটাই জানান হয়েছিল। আর এই নির্দেশের বিরুদ্ধেই পিটিশন দায়ের করে জাতীয় শিশু সুরক্ষা অধিকার কমিশন। সেই পিটিশনে এও বলা হয়, এই আদেশ পকশো আইনের বিরুদ্ধে এবং শিশুদের ওপর যৌন অত্যাচারের পক্ষে কথা বলে। এই পিটিশন যারা দায়ের করেছে তাঁরা মনে করছেন কম বয়সিদের মধ্যে বিয়ের প্রচলন কম করতে সুপ্রিম কোর্টের আসন্ন রায় অনেকটাই সহায়তা করবে।
আরও পড়ুন, MP Explosion: বিকট বিস্ফোরণে উড়ল বাজি গোডাউন, মৃত কমপক্ষে ৪
কারণ ন্যাশনাল হেলথ সার্ভে (২০১৯-২১) অনুযায়ী, ২০ থেকে ২৪ বছর বয়সি মহিলাদের মধ্যে অপ্রাপ্তবয়স্কে বিয়ে আটকাতে সক্ষম হয়েছে কমিশন। রিপোর্টে এও দেখা যায় যে, দেশে প্রতিদিন কমপক্ষে ৩৪ জন নাবালিকাকে অপহরণ করে বিয়ে করতে বাধ্য করা হয়। ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেলথ সমীক্ষায় এও দেখা যায়, দেশে ১৫ থেকে ১৯ বছর বয়সি মেয়েদের মধ্যে ৭ শতাংশ নাবালিকা সন্তান ধারণ করতেও শুরু করেছেন। এদের মধ্যে মুসলিম নাবালিকাদের সংখ্যা সর্বোচ্চ। শতাংশের বিচারে ৮.৪ শতাংশ। খ্রিস্টানদের মধ্যে এই সংখ্যা ৬.৮ শতাংশ, হিন্দুদের মধ্যে ৬.৫ শতাংশ।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মুসলিমদের মধ্যে কিশোরী গর্ভধারণ হিন্দুদের তুলনায় ৩০ শতাংশ বেশি৷ আরও দেখায় যে মুসলমানদের মধ্যে গর্ভনিরোধক ব্যবহার অনেক কম। প্রসঙ্গত, জনসংখ্যা রোধ প্রসঙ্গে ওয়াইসির সাফাই ছিল 'আতঙ্কিত হবেন না, মুসলিম জনসংখ্যা বাড়ছে না, বরং কমে যাচ্ছে... তাহলে কে সবচেয়ে বেশি গর্ভনিরোধক ব্যবহার করছে? আমরাই।'
আরও পড়ুন, পাতে মাংস নেই কেন? দম্পতির কলহ মেটাতে গিয়ে বেঘোরে প্রাণ গেল প্রতিবেশীর