বাবা, ভাই ও কাকাদের হাতে গণধর্ষিতা কিশোরী! জোর করে গর্ভপাতও
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জুলাই ও অক্টোবর মাসে গ্রামেরই এক বিবাহিত পুরুষের সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছিল ওই কিশোরী। ৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তির তিন সন্তান রয়েছে। তাদের মেয়েকে ফুসলিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আগেই পুলিসে অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেছিল ওই কিশোরীর পরিবার।
নিজস্ব প্রতিবেদন : প্রেমিকের সঙ্গে বেশ কয়েকবার পালিয়ে গিয়েছিল বাড়ির মেয়ে। শিক্ষা দিতে, ভাই ও কাকারা মিলে ধর্ষণ করল এক কিশোরীকে। ভয়ঙ্কর এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের মুজফ্ফরনগরে। ওই কিশোরীর অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত বাবা, ভাই ও দুই কাকাকে গ্রেফতার করেছে পুলিস।
উত্তরপ্রদেশের মুজফ্ফরনগরের ধনধেরা গ্রামের বাসিন্দা ওই কিশোরীর অভিযোগ, তাকে বাবা, ভাই ও দুই কাকা মিলে গণধর্ষণ করে। এমনকি ধর্ষণের জেরে সে গর্ভবতী হয়ে পড়লে তাকে গর্ভপাতেও বাধ্য করা হয়। যদিও মেয়ের অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন ওই কিশোরীর মা ও বউদি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জুলাই ও অক্টোবর মাসে গ্রামেরই এক বিবাহিত পুরুষের সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছিল ওই কিশোরী। ৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তির তিন সন্তান রয়েছে। তাদের মেয়েকে ফুসলিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আগেই পুলিসে অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেছিল ওই কিশোরীর পরিবার। অভিযোগের ভিত্তিতে আটক করাও হয়েছিল ওই ব্যক্তিকে। কিন্তু কিশোরী নিজের ইচ্ছেয় ওই ব্যক্তির সঙ্গে চলে যাওয়ার কথা জানাতে, ছেড়ে দেওয়া হয় তাঁকে।
আরও পড়ুন, আদালতের নির্দেশের পরেও স্বামীর সঙ্গে সাক্ষাতে আসছে বাধা, অভিযোগ হাদিয়ার
এরপর ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে অক্টোবারে দ্বিতীয়বার অভিযোগ দায়ের করে কিশোরীর পরিবার। যারপরই ২ নভেম্বর এলাহাবাদ হাইকোর্টে ওই কিশোরী পরিবারের সদস্যদের দ্বারা গণধর্ষিতা হওয়ার অভিযোগ দায়ের করে। একইসঙ্গে তাকে জোর করে গর্ভপাত করানো হয়েছে বলেও দাবি করে ওই কিশোরী। কিশোরীর দায়ের করা অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযুক্ত ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে মুজফ্ফরনগর পুলিস।