রাজধানী বা গতিমান নয়, ভারতে এসে গেল সবচেয়ে দ্রুতগামী ট্রেন ট্যালগো
কমছে ট্রেন যাত্রার সময়। সকালে মুম্বই তো রাত হতেই পৌছে যাবেন দিল্লিতে। কারণ, দেশের রেলট্র্যাকে ঝড় তুলতে এসে গেল স্পেনে তৈরি ট্রেন ট্যালগো। ঘণ্টায় একশো আশি কিলোমিটার গতিতে চলা ট্যালগো রাজধানী বা গতিমানের থেকেও দ্রুতগামী। এই নতুন 'স্পিড ট্রেনের' দ্বিতীয় দফা ট্রায়াল শুরু হল মথুরা-পালওয়াল সেকশনে।
ওয়েব ডেস্ক: কমছে ট্রেন যাত্রার সময়। সকালে মুম্বই তো রাত হতেই পৌছে যাবেন দিল্লিতে। কারণ, দেশের রেলট্র্যাকে ঝড় তুলতে এসে গেল স্পেনে তৈরি ট্রেন ট্যালগো। ঘণ্টায় একশো আশি কিলোমিটার গতিতে চলা ট্যালগো রাজধানী বা গতিমানের থেকেও দ্রুতগামী। এই নতুন 'স্পিড ট্রেনের' দ্বিতীয় দফা ট্রায়াল শুরু হল মথুরা-পালওয়াল সেকশনে।
রেলযাত্রার আরও গতি আনতে হবে। আরও কম সময়ে যাত্রীদের পৌছে দিতে হবে গন্তব্য। আপাতত এটাই টার্গেট ভারতীয় রেলের। রেলট্র্যাকে ঝড় তুলতে এবার স্পেনের বার্সেলোনা থেকে আনা হয়েছে নতুন ট্রেন ট্যালগো। গতমাসেই বরেলি-মোরাদাবাদ শাখায় ট্যালগোর প্রথম ট্রায়াল রান হয়ে গেছে। এবার শুরু হল দ্বিতীয় দফার ট্রায়াল রান। ছিলেন রেলকর্তা এবং স্পেনের বিশেষ প্রতিনিধি দল।
শুক্রবার, মথুরা থেকে পালওয়াল পর্যন্ত ছুটল ট্যালগো। একশো কুড়ি কিলোমিটারে স্পিডে চুরাশি কিলোমিটার পথ যেতে সময় লেগেছে তিপান্ন মিনিট। পঁচিশ দিনের ট্রায়াল রানে গতি বাড়িয়ে শেষ দফায় ট্যালগো ছুটবে ঘণ্টায় একশো আশি কিলোমিটার বেগে।
কখনও খালি কোচ, কখনও কোচ বোঝাই বালির বস্তা নিয়ে হবে ট্রায়াল রান। খতিয়ে দেখা হবে ট্রেনের গতি এবং নিরাপত্তার দিকটিও।
কেমন হবে এই নতুন স্পিড ট্রেন? অ্যালুমিনিয়াম দিয়ে তৈরি হয় এই হালকা ওজনের ট্রেন। ঘণ্টায় ১৮০ কিলোমিটার গতিতে ছুটলেও বাঁকের মুখে ট্রেনের স্পিড কমে না। দ্রুত গতিতে যাওয়ার পাশাপাশি, ট্যালগোর জ্বালানি খরচ অন্য ট্রেনের থেকে প্রায় ৩০% কম। নটি কোচের ট্রেনে আছে ২ এক্সিকিউটিভ ক্লাস কার, ৪টি চেয়ারকার, ১টি ক্যাফেটেরিয়া, ১টি পাওয়ার কার এবং কর্মী ও যন্ত্রপাতির জন্য বিশেষ কোচ।
এবার ট্রেনের টিকিট বুকিংয়ের ক্ষেত্রে আধার কার্ড থাকা বাধ্যতামূলক
ট্যালগোর ট্রায়ালের প্রাথমিক রিপোর্টে খুশি রেলের আধিকারিকরা। তবে আরও কিছু পরীক্ষা এখনও বাকি। মুম্বই-দিল্লি রুটে ট্যালগোর শেষ ট্রায়ালের পরই রিপোর্ট চূড়ান্ত হবে। এরপরই মিলবে ছাড়পত্র।