অবশেষে সুবিচার: ধর্ষিতা কিশোরীর গর্ভপাতের অনুমতি দিল সুপ্রিম কোর্ট
গর্ভপাতে সুপ্রিম কোর্টের সম্মতি মিলেছে। সর্বোচ্চ আদালতের গ্রিন সিগন্যাল পেয়ে, গুজরাতের ধর্ষিতা নাবালিকার মেডিক্যাল টেস্ট করলেন ডাক্তাররা। কাল আমেদাবাদের একটি হাসপাতালে কিশোরীর গর্ভপাত করানো হবে। চোদ্দ বছরের এক কিশোরী। ডাক্তারের কাছে গিয়েছিল টাইফয়েডের চিকিত্সা করাতে। অভিযোগ, ডাক্তারই ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে। গত ফেব্রুয়ারিতে সন্তানসম্ভবা হয় ওই কিশোরী। চারজন গায়নোকোলজিস্ট এবং একজন ক্লিনিকাল সাইকোলজিস্ট নিয়ে গঠিত ডাক্তারদের প্যানেল জানিয়ে দেয়, গর্ভপাত করানো ছাড়া নাবালিকাকে বাঁচানোর কোনও রাস্তা খোলা নেই। ডাক্তারদের যুক্তি ছিল,
ব্যুরো: গর্ভপাতে সুপ্রিম কোর্টের সম্মতি মিলেছে। সর্বোচ্চ আদালতের গ্রিন সিগন্যাল পেয়ে, গুজরাতের ধর্ষিতা নাবালিকার মেডিক্যাল টেস্ট করলেন ডাক্তাররা। কাল আমেদাবাদের একটি হাসপাতালে কিশোরীর গর্ভপাত করানো হবে। চোদ্দ বছরের এক কিশোরী। ডাক্তারের কাছে গিয়েছিল টাইফয়েডের চিকিত্সা করাতে। অভিযোগ, ডাক্তারই ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে। গত ফেব্রুয়ারিতে সন্তানসম্ভবা হয় ওই কিশোরী। চারজন গায়নোকোলজিস্ট এবং একজন ক্লিনিকাল সাইকোলজিস্ট নিয়ে গঠিত ডাক্তারদের প্যানেল জানিয়ে দেয়, গর্ভপাত করানো ছাড়া নাবালিকাকে বাঁচানোর কোনও রাস্তা খোলা নেই। ডাক্তারদের যুক্তি ছিল,
ধর্ষণের কারণে নাবালিকা মেয়েটি মানসিক ভাবে পুরোপুরি বিপর্যস্ত
সন্তানের জন্ম দিতে গেলে যে শারীরিক ধকল নিতে হয়, তা সহ্য করার ক্ষমতা তার নেই
এমন পরিস্থিতিতে প্রেগন্যান্সি কিশোরীর জীবন বিপন্ন করতে পারে
এরপরই নাবালিকার গর্ভপাতের অনুমতি চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন কিশোরীর বাবা-মা। কিন্তু নিম্ন আদালত ও গুজরাত হাই কোর্ট সেই আর্জিতে সায় দেয়নি।
মেডিক্যাল গর্ভপাত আইন অনুযায়ী, ভ্রুণের বয়স ২০ সপ্তাহ পেরিয়ে গেলে গর্ভপাত করানো যায় না
ভ্রুণের বয়স ২৩ সপ্তাহ পেরিয়ে গেছে, এই যুক্তিতে নিম্ন আদালত ও গুজরাত হাই কোর্ট নাবালিকার গর্ভপাতে অনুমতি দিতে অস্বীকার করে।
এরপর কিশোরীর পরিবার সুপ্রিম কোর্টে গর্ভপাতের আর্জি জানায়। সর্বোচ্চ আদালত গুজরাতের দুটি আদালতের রায় খারিজ করে নাবালিকার গর্ভপাতে অনুমতি দেয়। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দেয়,
সন্তানের জন্ম দিতে গিয়ে যদি নাবালিকারই প্রাণহানির আশঙ্কা থাকে, তাহলে তার গর্ভপাত করানো যেতে পারে
কিশোরীকে বাঁচাতে ডাক্তাররা যা প্রয়োজনীয় মনে করবেন সেটাই করা হোক।
সুপ্রিম কোর্টের ছাড়পত্র পাওয়ার পর শুরু হয় গর্ভপাতের প্রস্তুতি। বৃহস্পতিবার পাঁচ সদস্যের স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞের একটি দল কিশোরীর মেডিক্যাল টেস্ট করে। ডাক্তাররা আশাবাদী, নাবালিকার গর্ভপাত নিরাপদেই হবে।