জামিন পেলেন সুখরাম

এক রাত তিহারবাসের পরই ফের হাসপাতালে ভর্তি হলেন সুখরাম। হঠাত্‍ শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় রবিবার দুপুরে সরকারি ডাক্তারের পরামর্শে দিল্লির দীনদয়াল উপাধ্যায় হাসপাতালের আইসিইউ-তে ভর্তি করা হয় তাঁকে।

Updated By: Jan 7, 2012, 02:09 PM IST

এক রাত তিহারবাসের পরই রবিবার ফের হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। সোমবার সুপ্রিম কোর্টে জামিন পেয়ে গেলেন ৯৯৩ সালের টেলিকম কেলেঙ্কারি মামলায় দোষী সাব্যস্ত প্রাক্তন কেন্দ্রীয় টেলিকমমন্ত্রী সুখরাম। হিমাচল প্রদেশের ৮৫ বছরের কংগ্রেস নেতার পাশাপাশি জামিন পেয়েছেন প্রায় দু'দশকের পুরনো টেলিকম মামলায় অন্য দুই সাজাপ্রাপ্ত- প্রাক্তন আমলা রুনু ঘোষ এবং হায়দরাবাদের ব্যবসায়ী পি রামা রাও। বিচারপতি পি সতশিভম এবং বিচারপতি জে চেমালেশ্বরকে নিয়ে গঠিত শীর্ষ আদালতের বেঞ্চ আগামী ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত সুখরাম-সহ তিন দণ্ডপ্রাপ্ত অভিযুক্তর অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করেছে।
 
১৯৯৩ সালের এই দুর্নীতি মামলার জেরে ২০০২ সালে তিন বছরের কারাদণ্ডের সাজা হয়েছিল তিন বার লোকসভা ও পাঁচ বার বিধানসভা ভোটে জয়ী সুখরামের। সাজা হয় রুনু ঘোষ ও পি রামা রাওয়েরও। নরসীমা রাও ক্যাবিনেটের টেলিকমমন্ত্রী থাকাকালীন সুখরামের দেওয়া ওই বরাতের ফলে রাজকোষে ১৬৬ কোটি টাকা রাজস্ব ক্ষতি হয়েছিল বলে প্রমাণিত হয় আদালতে। প্রাথমিক ভাবে দণ্ডপ্রাপ্ত তিন অভিযুক্ত জামিন পেলেও পরে তা নাকচ হয়ে যায়। অসুস্থতার কারণে জামিনের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন জানালেও সুপ্রিম কোর্টে সুখরামের আর্জি খারিজ হয়।

শনিবার দিল্লির পাটিয়ালা হাউসের বিশেষ সিবিআই আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। এর পরই তাঁকে তিহার জেলে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক। কিন্তু রবিবার সকাল থেকে ফের অসুস্থ হয়ে পড়ায় দিল্লির দীনদয়াল উপাধ্যায় হাসপাতালের আইসিইউ'তে ভর্তি করা হয় সুখরামকে। এদিন অভিযুক্তদের পক্ষে সওয়াল করার সময় তিন খ্যাতনামা আইনজীবী, গোপাল সুব্রহ্মণ্যম, হরিশ সালভে এবং মুকুল রোহাটগি জানান, তাঁদের মক্কেলরা নিম্ন আদালতে সাজাপ্রাপ্ত হওয়ার পর দীর্ঘ দু'দশক জামিনে রয়েছেন। তাঁদের পালিয়ে যাওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। শীর্ষ আদালত এই আবেদন মেনে নেয়। সুখরাম-সহ তিন জনের জামিনের শর্ত সংক্রান্ত খুঁটিনাটি স্থির করার ভার বিশেষ আদালতের উপরই ছেড়ে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
প্রসঙ্গত, গত ১৯ নভেম্বর ১৯৯৬ সালের অন্য একটি টেলিকম কেলেঙ্কারির মামলায় দোষী সাব্যস্ত নরসীমা রাও ক্যাবিনেটের সদস্য সুখরামকে ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেন দিল্লির বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক আর পি পাণ্ডে। এর আগে ২০০৯ সালে আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তির মামলাতেও দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন সুখরাম।

.