জোট বাঁচাতে আশাবাদী প্রধানমন্ত্রী
অস্বস্তির অন্যতম কারণ যে তৃণমূল, নাম না করেও তা আরও একবার বুঝিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। তবে, অন্যতম বড় শরিকের সঙ্গে মতপার্থক্যের জায়গাগুলি মিটিয়ে ফেলার বিষয়েও একইরকম আশাবাদী তিনি।
অস্বস্তির অন্যতম কারণ যে তৃণমূল, নাম না করেও তা আরও একবার বুঝিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। তবে, অন্যতম বড় শরিকের সঙ্গে মতপার্থক্যের জায়গাগুলি মিটিয়ে ফেলার বিষয়েও একইরকম আশাবাদী তিনি।খুচরো ব্যবসায় প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ থেকে লোকপাল বিল। কেন্দ্রের সঙ্গে একাধিক ইস্যুতে সংঘাত বেড়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের। জট কাটাতে আলোচনাই একমাত্র পথ বলে ফাটলে পলেস্তারা লাগানোর চেষ্টা করে এসেছে কংগ্রেস হাইকম্যান্ড। কিন্তু, অন্যতম বড় শরিকের একের পর এক বিবৃতিতে ক্রমশই স্পষ্ট হয়েছে সম্পর্কের চিড়। শুধু কেন্দ্রীয় স্তরেই না। রাজ্যেও তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে একাধিক ইস্যুতে সোচ্চার হয়েছে প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব। শরিকি সম্পর্ক এখন কার্যত তলানিতে ঠেকেছে। পরস্পরবিরোধী বিবৃতির জেরে ক্রমশ বেড়ে চলেছে তিক্ততা। এবার সেই তিক্ততাই মিলল প্রধানমন্ত্রীর গলাতেও। তবে শরিকের সঙ্গে দূরত্ব যে সৃষ্টি হয়েছে, তাও কার্যত স্পষ্ট মনমোহন সিংয়ের গলায়। কারণ, সংঘাতের ক্ষেত্রগুলিতে অন্যতম প্রধান শরিককে বোঝানোর কোনও চেষ্টাতেই সফল হতে পারেনি কংগ্রেস হাইকম্যান্ড। প্রথম ইউপিএ সরকারের জমানায় এভাবেই তত্কালীন সমর্থক বামেদের সঙ্গে বিভিন্ন ইস্যুতে দূরত্ব বেড়েছিল কংগ্রেসের। যার চরম পরিণতি, ভারত-মার্কিন পরমাণু চুক্তির নিয়ে মতপার্থক্যের জেরে ইউপিএ থেকে বামেদের সমর্থন প্রত্যাহার। রাজনৈতিক মহলের মতে, অতীতের সেই ঘটনার পূনরাবৃত্তি যাতে বর্তমানের অন্যতম শরিক তৃণমূল কংগ্রেসের ক্ষেত্রে না হয়, সেটাই আপাতত উদ্দেশ্য কংগ্রেস হাইকম্যান্ডের।