'পিকে'-র পিছনে টাকা ঢেলেছে আইএসআই, দাবি বিজেপি নেতা সুব্রহ্মনম স্বামীর
এবার সুব্রহ্মনম স্বামীর নিশানায় 'পিকে'। আমির খানের নতুন ছবি নিয়ে বিতর্ক থামছেই না। এবার সেই বিতর্ক আরও কিছুটা উসকে দিলেন বিজেপি নেতা সুব্রহ্মনম স্বামী। সোমবার একটি টুইট করে 'পিকে'-র ফান্ডিং কে করেছে সে বিষয়ে প্রশ্ন তুললেন। শুধু সেটুকুই নয় তাঁর দাবি 'পিকে'-পিছনে নাকি টাকা ঢেলেছে দুবাই আর ইসলামিক জঙ্গি গোষ্ঠী আইএসআই। তিনি ডিআরআই-এর কাছে এই নিয়ে তদন্তের দাবি তুলেছেন।
ওয়েব ডেস্ক: এবার সুব্রহ্মনম স্বামীর নিশানায় 'পিকে'। আমির খানের নতুন ছবি নিয়ে বিতর্ক থামছেই না। এবার সেই বিতর্ক আরও কিছুটা উসকে দিলেন বিজেপি নেতা সুব্রহ্মনম স্বামী। সোমবার একটি টুইট করে 'পিকে'-র ফান্ডিং কে করেছে সে বিষয়ে প্রশ্ন তুললেন। শুধু সেটুকুই নয় তাঁর দাবি 'পিকে'-পিছনে নাকি টাকা ঢেলেছে দুবাই আর ইসলামিক জঙ্গি গোষ্ঠী আইএসআই। তিনি ডিআরআই-এর কাছে এই নিয়ে তদন্তের দাবি তুলেছেন।
Who financed the PK film? According to my sources it is traceable to Dubai and ISI. DRI must investigate
— Subramanian Swamy (@Swamy39) December 29, 2014
এমনিতেই সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন 'থিওরি' দিয়ে এখন বেশ 'জনপ্রিয়' এই হিন্দুত্ববাদী বিজেপি নেতা। কিছুদিন আগেই তিনি দাবি করেছিলেন পৌরাণিক চরিত্র রাবণ নাকি গাজিয়াবাদের এক দলিত। তাঁর মতে পৃথিবীর অধিকাংশ বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের আতুঁর ঘরই নাকি ভারতীয় হিন্দু পুরাণগুলি। এবার সে সব ছেড়ে 'পিকে'-এর সঙ্গে আইএসআই-এর যোগ সূত্র খুঁজে পেলেন তিনি।
বিভিন্ন গেরুয়া সংগঠনগুলো অবশ্য কয়েকদিন ধরেই 'পিকে'-এর বিরুদ্ধে হিন্দু ভাবাবেগে আঘাত করার অভিযোগ জানিয়ে আসছিল। এই সিনেমা নিষিদ্ধ করার দাবিও তুলেছে তারা।
আহমেদাবাদের একটি বিখ্যাত সিনেমা হলে আমির খানের নতুন ছবি 'পিকে' চলাকালীন ভাঙচুর চালাল বিশ্ব হিন্দু পরিষদের যুব শাখা বজরং দল।
ওই সিনেমা হলে বজরং দলের গুণ্ডাগিরির ছবি ধরা পড়েছে টিভি ক্যামেরায়।
ভোপালেও এই সিনেমার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখিয়েছে উগ্র হিন্দুত্ববাদী এই যুব সংগঠন। আতঙ্কে বেশ কিছু হলে বন্ধ রাখা হয়েছে 'পিকে'-এর স্ক্রিনিং।
বজরং দলের দাবি আমিরের নতুন ছবিতে বেশ কয়েকটি দৃশ্যে হিন্দু ধর্মের অবমাননা করা হয়েছে।
ইতিমধ্যেই পিকে-র বিরুদ্ধে হিন্দু ভাবাবেগে আঘাতের অভিযোগ এনেছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। পিকের বেশ কিছু দৃশ্য নিয়ে আপত্তি জানিয়ে বিএইচপি সেন্সর বোর্ডে কাছে এই সিনেমার উপর নিষেধাজ্ঞা জারির আবেদন জানিয়েছে।
ভারতের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের কাছে চিঠিতে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের তরফে লেখা হয়েছে, এই ছবি হিন্দুদের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত হানার উদ্দেশ্যেই তৈরি করা হয়েছে। চিঠিতে সই করেছেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মুখপাত্র বিনোদ বনসল ও বিজয় শঙ্কর তিওয়ারি। লেখা হয়েছে, এই ধরণের ছবি বন্ধ করা উচিত। প্রশ্ন তোলা হয়েছে সেন্সর বোর্ডের চরিত্র নিয়েও। ছবির বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন জায়গায় পুলিসে অভিযোগ জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন বনসল।