প্রত্যাশামতই সারদা মামলায় ফের সুপ্রিমকোর্টের দ্বারস্থ রাজ্য
সারদার তদন্তে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হচ্ছে CBI-কে। এই অভিযোগে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হল রাজ্য সরকার। রাজ্যের দাবি, CBI তদন্ত হোক সুপ্রিম কোর্টের নজরদারিতে। রাজ্যের হয়ে মামলাটি লড়বেন বর্ষীয়ান আইনজীবী কপিল সিব্বল।
নয়া দিল্লি: সারদার তদন্তে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হচ্ছে CBI-কে। এই অভিযোগে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হল রাজ্য সরকার। রাজ্যের দাবি, CBI তদন্ত হোক সুপ্রিম কোর্টের নজরদারিতে। রাজ্যের হয়ে মামলাটি লড়বেন বর্ষীয়ান আইনজীবী কপিল সিব্বল।
পৃথক একটি মামলা দায়ের করেছেন তৃণমূল নেত্রী মহুয়া মৈত্র। ২০১৪ সালের এপ্রিলে সারদায় CBI তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার সময়েই সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, প্রয়োজনে এই তদন্তে নজরদারি চালাবে তারা। এবার সুপ্রিম কোর্টে সেই আবেদনই জানাবে রাজ্যে।
রাজ্য সরকারের অভিযোগ, বিজেপি নেতারা যখন যাঁর নাম করছেন, হুবহু সেই ক্রমান্বয়েই তৃণমূলের নেতামন্ত্রীদের গ্রেফতার অথবা সমন করছে CBI। শুধু তাই নয়, রাজ্যে প্রায় ৫৭০টি বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থা থাকলেও, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি মাত্র ৭০টির বিরুদ্ধে তদন্ত করছে বলে অভিযোগ রাজ্য সরকারের।
সারদাকাণ্ডে CBI তদন্তে ঠেকাতে এর আগে দীর্ঘ আইনি লড়াই লড়েছে রাজ্য সরকার। সেই প্রক্রিয়ায় প্রায় ১১ কোটি টাকা খরচ হয়েছিল। দীর্ঘ শুনানির পর, দুহাজার চোদ্দর এপ্রিলে সারদায় CBI তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ছিল, সারদায় বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের হদিশ করুক CBI। খুঁজে বের করুক এই কেলেঙ্কারিতে প্রভাবশালীদের ভূমিকা।
পাশাপাশি রাজ্যের প্রায় ১৮ লক্ষ আমানতকারীকে ঠকিয়ে নেওয়া প্রায় দুহাজার কোটি টাকা কোথায় গেল তাও খুঁজে বের করুক কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। সারদায় CBI তদন্ত নিয়ে আমানতকারীদের একাংশও সুপ্রিম কোর্টে মামলা করতে চলেছেন। এক অবসরপ্রাপ্ত সরকারি অফিসার আমানতকারীদের হয়ে মামলাটি করবেন। আবেদনকারীদের দাবি, CBI তদন্তে গতি আনা হোক। তাঁদের অভিযোগ, সারদায় বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের হদিশ করার নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট।
কিন্তু, বাস্তবে মুষ্টিমেয় কিছু প্রভাবশালী ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের বিরুদ্ধে তদন্ত করছে CBI। অথচ, সারদার যেসব এজেন্টের কাছে প্রায় আটশো কোটি টাকা পড়ে রয়েছে তা উদ্ধারের কোনও চেষ্টাই করা হচ্ছে না। প্রভাবশালীদের পাশাপাশি, সারদার এজেন্টদের একটা বড় অংশও ঘুরপথে সারদার টাকা সংগ্রহ করে ব্যক্তিগত হেফাজতে রেখেছিল বলে অভিযোগ। প্রতারিতদের টাকা ফেরতেও CBI কোনও উদ্যোগ নিচ্ছে না বলে অভিযোগ আমানতকারীদের।