রাহুলকে সামনে রেখে লোকসভা ভোটের প্রচার শুরু কংগ্রেসের

জয়পুরের চিন্তন শিবির থেকেই কার্যত আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করে দিল কংগ্রেস। যে ইস্যুটি ইউপিএ দুই সরকারকে সবচেয়ে সমস্যায় ফেলেছিল সেই দুর্নীতি ইস্যুকেই অস্ত্র করে লড়াইয়ের বার্তা দিলেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। আজ জয়পুরে কংগ্রেসের চিন্তন শিবিরের সমাপ্তি ভাষণে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়তে ইতিমধ্যেই সরকার পাঁচদফা পরিকল্পনা নিয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

Updated By: Jan 20, 2013, 02:55 PM IST

জয়পুরের চিন্তন শিবির থেকেই কার্যত আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করে দিল কংগ্রেস। যে ইস্যুটি ইউপিএ দুই সরকারকে সবচেয়ে সমস্যায় ফেলেছিল সেই দুর্নীতি ইস্যুকেই অস্ত্র করে লড়াইয়ের বার্তা দিলেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। আজ জয়পুরে কংগ্রেসের চিন্তন শিবিরের সমাপ্তি ভাষণে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়তে ইতিমধ্যেই সরকার পাঁচদফা পরিকল্পনা নিয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। তার সঙ্গেই কংগ্রেস সভানেত্রীর বক্তব্যে উঠে এল দিল্লির ধর্ষিতা তরুণীর কথাও। তিনি জানিয়ে দিলেন মেয়েটির মৃত্যু বৃথা যাবে না। নারী সুরক্ষা প্রশ্নে চিন্তন শিবিরের সমাপ্তি ভাষণে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং-এর গলাতেও দলের সভানেত্রীর সুর শোনা গেল।
সোনিয়া তাঁর বক্তব্যে বললেন নারীদের প্রাথমিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য তাঁর দল লড়াই জারি রাখবে। প্রতিশ্রুতি দিলেন নারী সুরক্ষার জন্য দেশে নিশ্চিত আইনেরও। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী অবশ্য জানিয়েছেন মহিলাদের সমানাধিকারের জন্য আইন প্রণয়নই শেষ কথা নয়। তিনি বললেন দিল্লির ঘটনার পর এটা পরিষ্কার যে সামাজিক দৃষ্টিকোনের বদল ভীষণ প্রয়োজনীয়।
বিশ্ব জুড়ে চলতে থাকা আর্থিক মন্দার ছায়া পড়েছে ভারতের অর্থনীতিতেও। সেই পরিস্থিতি থেকে দেশকে বাঁচাতেই আর্থিক সংস্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। জয়পুরে দলের চিন্তন শিবিরে এমনটাই বললেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। কেন্দ্রীয় সরকার বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যগুলিকে সাহায্য করতে এগিয়ে গিয়েছে। তবে কংগ্রেস ক্ষমতায় নেই এমন অনেক রাজ্যই কেন্দ্রীয় প্রকল্পকে নিজেদের বলে চালাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন সোনিয়া গান্ধী। জানালেন যাঁরা এ কাজ করছেন দ্রুতই তাঁদের পর্দা ফাঁস করা হবে। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যেও এই প্রসঙ্গ উঠে এল। তিনি বললেন আসল সত্যিটার সঙ্গে মানুষের পরিচিত হওয়া প্রয়োজনীয়।
অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে ইউপিএ সরকারের আমলে ভারতে আর্থনীতির বিকাশের কথা তুলে ধরলেন। জানালেন এভাবে চললে আগামী দুহাজার তিরিশের মধ্যে মধ্য আয়ের দেশ হিসেবে উঠে আসবে ভারত। এর সঙ্গেই আটই জানুয়ারি পাকিস্তান সীমান্তে যা করেছে তা খুবই নিন্দার।ভারত বিষয়টি উপর নজর রাখছে।  ভারত পাকিস্তানের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সহবস্থানই চায়। তবে সেক্ষেত্রে পাকিস্তানকেও এগোতে হবে বলে জয়পুরে মন্তব্য করলেন প্রধানমন্ত্রী।

.