ননসেন্স; শাস্তি পেতেই হবে, সুপ্রিম কোর্টে কড়া ধমক খেল আইআইটি বম্বে
ওই প্রকল্পের দায়িত্ব দেওয়া হয় বম্বে আইআইটি ও টাটা প্রজেক্ট লিমিটেডকে। এনিয়ে সেন্ট্রাল পলিউশন কন্ট্রোল বোর্ডের সঙ্গে একটি মৌ-ও সাক্ষরিত হয়
নিজস্ব প্রতিবেদন: রাজধানীতে দূষণ নিয়ন্ত্রণে একটি 'স্মগ টাওয়ার' বসানোর মামলায় সুপ্রিম কোর্ট কড়া ধমক খেল আইআইটি বম্বে। বুধবার শীর্ষ আদালতে এনিয়ে একটি মামলার শুনানিতে আদালতের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, ওই প্রকল্প থেকে সরে আসলে আইআইটি বম্বেকে শাস্তি পেতেই হবে।
এদিন মামলার শুনানিতে বিচারপতি অরুণ মিশ্র বলেন, এ জিনিস(ননসেন্স) মেনে নেওয়া যায় না। আদালতের আদেশ মানতে দেরি করার জন্য আইআইটি বম্বেকে শাস্তি পেতেই হবে। ছ'মাস পরে কীভাবে আইআইটি বম্বে একটা সরকারি প্রকল্প থেকে সরে যেতে পারে!
আরও পড়ুন-অতি মূল্যবান 'সাদা সোনা' আবিষ্কার, এই দেশের ভাগ্য বদলে যাওয়ার কথা এবার
বিচারপতি এদিন চেপে ধরেন সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতাকে। বলেন, আইআইটি বম্বেকে ফোন করুন। আধঘণ্টার মধ্যে ওদের বক্তব্য শুনতে চাই। আপনাকে পনের মিনিট সময় দিচ্ছি।
তুষার মেহতা বলেন, দয়া করে আমাকে ২৪ ঘণ্টা সময় দিন। এর মধ্যে কোনও কিছুই বদল হবে না। আমার জায়গায় নিজেকে রেখে একবার দেখুন। অন্যদিকে, বিচারপতি বলেন, আইআইটি বম্বে যে চিঠি দিয়েছিল তার জবাব আপনি দেননি কেন? ওদের বাঁচানোর চেষ্টা আপনি করছেন কেন? এমনিতেই ওরা আদালতের আদেশ অমান্য করেছে। এখন বলছে প্রকল্প থেকে সরে যাবে!
উল্লেখ্য, গত বছর রাজধানীর দূষণ নিয়ন্ত্রণের জন্য কেন্দ্র ও দিল্লি সরকারকে কনর্ট প্লেসে একটি স্মগ টাওয়ার বসানোর কথা বলে। এর জন্য কেন্দ্রকে ৩ মাস সময় দেওয়া হয়। সে সসময় কেন্দ্র এক হলফনামা দিয়ে জানায়, ৬ মাসের আগে ওই টাওয়ার বসানো সম্ভব নয়।
অন্যদিকে, দিল্লি সরকারের তরফে আইনজীবী মুকুল রোহতগি বলেন ওই টাওয়ার বসানের জন্য অন্ততপক্ষে ৯ মাস সময় চাই। ওই সময় এক আইআইটির অধ্যপক জানিয়েছিলেন, দিল্লিতে একটি টাওয়ার ও একটি অ্যান্টি-স্মগ গান বসানো ২০২০ সালের অগাস্ট মাসের আগে সম্ভব নয়।
আরও পড়ুন-বিশ্ব ORS দিবস: করোনা আতঙ্কের আবহে ডায়রিয়ার মতো সমস্যা থেকে দূরে রাখুন শিশুদের
ওই প্রকল্পের দায়িত্ব দেওয়া হয় বম্বে আইআইটি ও টাটা প্রজেক্ট লিমিটেডকে। এনিয়ে সেন্ট্রাল পলিউশন কন্ট্রোল বোর্ডের সঙ্গে একটি মৌ-ও সাক্ষরিত হয়। ছ'মাস আগে তারা প্রকল্পের এলাকা ঘুরে দেখে। এদিকে, গত ১৪ জুলাই আইআইটি বম্বে একটি ইমেল করে জানিয়েছে তারা মৌ-এর শর্ত মানতে পারবে না। সেই মামলারই শুনানি ছিল আজ। শেষপর্যন্ত বৃহস্পতিবার ফের ওই মামলর শুনানি হবে বলে জানানো হয় আদালতের পক্ষে থেকে।