গুজরাতে পদপিষ্ট হয়ে মৃত ৬
উত্তরাখণ্ডের হরিদ্বার, মধ্যপ্রদেশের রতলামের পর এবার গুজরাটের জুনাগড়। চার মাসের মধ্যে তৃতীয়বার ধর্মীয় উত্সবে ভিড়ে চাপে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটল।
উত্তরাখণ্ডের হরিদ্বার, মধ্যপ্রদেশের রতলামের পর এবার গুজরাটের জুনাগড়। চার মাসের মধ্যে তৃতীয়বার ধর্মীয় উত্সবে ভিড়ে চাপে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটল। তাত্পর্যপূর্ণ ভাবে তিনটি ক্ষেত্রেই বিজেপি পরিচালিত রাজ্য প্রশাসন এবং পুলিসের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠল দায়িত্ব পালনে নিশ্চেষ্টতার।
রবিবার গভীর রাতে গুজরাটের জুনাগড় জেলায় ভাবনাথ মন্দিরে একটি ধর্মীয় উত্সবে পদপিষ্ট হয়ে মারা গিয়েছেন ৬ জন পূণ্যার্থী। আহতের সংখ্যা কমপক্ষে ২০। মৃতদের মধ্যে ৩ জন মহিল এবং ২ শিশু। সোমবারের মহা-শিবরাত্রি উত্সব উপলক্ষে গিরনার পাহাড়ের তলায় ভাবনাথ মন্দিরের মূল ফটকের সামনে আয়োজিত মেলায় জড়ো হয়েছিলেন। আচমকাই দ্রুতগতিতে ধাবমান একটি গাড়ি `ব্রেক ফেল` করে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মেলা প্রাঙ্গণে ঢুকে পড়লে প্রবল আতঙ্ক তৈরি হয়। ধাক্কাধাকির জেরে পদপিষ্ট হন বহু পূণ্যার্থী। বিধি ভেঙে কর্তব্যরত পুলিস আফিসাররা মেলা প্রাঙ্গণে গাড়ি ঢুকতে দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ প্রত্যক্ষদর্শীদের। ইতিমধ্যেই গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পুরো ঘটনার উচ্চপর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। নিহতদের পরিবারপিছু ১ লক্ষ এবং আহতদের জন্য ২৫ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণেরও ঘোষণা করেছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের জানুয়ারি মাসে কেরলের ইদুক্কি জেলার সাবারিমালা মন্দিরে একই ভাবে পূণ্যার্থীদের ভিড়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ঢুকে পড়েছিল একটি গাড়ি। আর এর ফলে তৈরি হয় আতঙ্ক। হুড়োহুড়িতে পদপিষ্ট হয়ে শতাধিক মানুষের মৃত্যু ঘটে।