Shraddha Walker murder: একের বেশি অস্ত্রে শ্রদ্ধার দেহ টুকরো করে আফতাব!
এদিন আফতাবের লাই ডিটেক্টর টেস্ট হয়। সূত্রের খবর, লাই ডিটেক্টর টেস্টের সময় ঠান্ডা ও স্বাভাবিকই ছিল আফতাব। এরপর তার নারকো পরীক্ষাও করা হবে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: শ্রদ্ধা ওয়াকার খুনে চাঞ্চল্যকর তথ্য়। এক নয়, একের বেশি অস্ত্র দিয়ে কেটে টুকরো টুকরো করা হয় শ্রদ্ধার দেহ। আফতাব আমিন পুনেওয়ালাকে জেরায় সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। পাশাপাশি, পুলিস আরও মনে করছে, হিমাচল প্রদেশে ঘুরতে গিয়েই সম্ভবত শ্রদ্ধাকে খুনের পরিকল্পনা করে আফতাব। মার্চ-এপ্রিল মাসে হিমাচলে যায় যুগল। এরপর দিল্লি ফিরে মে মাসে শ্রদ্ধাকে খুন করে আফতাব। এদিন আফতাবের লাই ডিটেক্টর টেস্ট হয়। সূত্রের খবর, লাই ডিটেক্টর টেস্টের সময় ঠান্ডা ও স্বাভাবিকই ছিল আফতাব। এরপর তার নারকো পরীক্ষাও করা হবে।
লিভ-ইন পার্টনার আফতাব আমিনের হাতে শ্রদ্ধা ওয়াকারের খুনের ভয়াবহতা চমকে দিয়েছে দেশবাসীকে। প্রেমিকাকে খুনের পর দেহ ৩৫ টুকরো করা থেকে ফ্রিজারে দেহাংশ সংরক্ষণ, তদন্তে উঠে আসে একের পর এক ভয়ংকর হাড়হিম করা চাঞ্চল্যকর তথ্য। একদিকে ফ্রিজে যখন প্রেমিকার দেহাংশ থেকে কাটা মুণ্ডু মজুত, সেই অবস্থাতেও ফ্ল্যাটে নিত্য নতুন বান্ধবীদের নিয়ে এসে উদ্দাম যৌনতায় মেতেছে আফতাব। পাশাপাশি, মাঝ রাতে ফ্রিজে রাখা শ্রদ্ধার কাটা মুণ্ডু বের করে তার সঙ্গে কথাও বলত সে। এমনকি মেক-আপও করে দিত শ্রদ্ধার কাটা মণ্ডুতে! এরপর সেই কাটা মুণ্ডু জঙ্গলে ফেলার সময়, যাতে কেউ চিনতে না পারে, তাই শ্রদ্ধার মুখ পুড়িয়েও দেয় ফুড ব্লগার আফতাব।
শ্রদ্ধাকে খুনের পর প্রতিদিন রাত ২টো থেকে শুরু হত প্রেমিকার কাটা দেহাংশ জঙ্গলে ফেলার জন্য আফতাবের অভিযান। ছড়িয়ে ছিটিয়ে দিল্লির বিভিন্ন জায়গায় ওই ৩৫ টুকরো ফেলে আফতাব। ঘরের মেঝে থেকে রক্তের দাগ ধুয়ে মুছে ফেলতে ব্লিচিং পাউডার সহ আরও অন্যান্য রাসায়নিক ব্যবহার করে সে। এমনকি জেরায় আফতাব এও কবুল করেছে যে খুনের পর প্রেমিকা শ্রদ্ধা ওয়াকারের নাড়িভুঁড়ির কিমা বানায় সে! তারপর সেই 'কিমা' করা নাড়িভুঁড়ি কমোডে ফেলে ফ্লাশ করে দেয়!
আরও পড়ুন, সহকর্মী নার্সের সঙ্গে পরকীয়া, হাসপাতাল থেকেই 'মারণ' ওষুধ চুরি করে ভয়ংকর কাণ্ড ঘটাল স্বামী!
যদিও প্রেমিকা শ্রদ্ধা ওয়াকারকে নৃশংসভাবে খুন ও তাঁর দেহ ৩৫ টুকরো করার পর আদালতের কাছে আফতাবের দাবি, সবই নাকি সে করেছে রাগের মাথায়! কোনও পরিকল্পনা করে নয়। মুহূর্তের রাগেই নাকি নারকীয় হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে সে। আদালতের কাছে আফতাব আমিন পুনেওয়ালার দাবি, সে সবটাই করেছে 'ইন হিট অফ দ্য মোমেন্ট'। এমনকি সে এও দাবি করেছে যে, তদন্তে সে পুলিসকে সহযোগিতা করছে। তার সম্পর্কে যা যা বলা হয়েছে এখনও পর্যন্ত, তার সবটা সত্যি নয়। শ্রদ্ধার টুকরো করা দেহাংশ কোথায় কোথায় ফেলেছে, সেই ম্যাপ সে পুলিসকে দিয়েছে। এই ঘটনা সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য-ই সে পুলিসকে দেবে। তবে ঘটনাটি অনেকদিন আগের হওয়ার, সে অনেককিছু ঠিক মনে করতে পারছে না।