খুন করে এক সপ্তাহ আকাঙ্ক্ষার দেহ ফ্রিজে রেখে দিয়েছিল উদয়ন!
খুন করে এক সপ্তাহ আকাঙ্ক্ষার দেহ ফ্রিজে রেখে দেয় উদয়ন। পরে সুযোগ-সুবিধা মতো কংক্রিটে কবর দেয়। জেরায় উঠে এল এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য। মেয়ের খুনির কঠোরতম সাজা চেয়েছেন আকাঙ্ক্ষার মা-বাবা।
ওয়েব ডেস্ক: খুন করে এক সপ্তাহ আকাঙ্ক্ষার দেহ ফ্রিজে রেখে দেয় উদয়ন। পরে সুযোগ-সুবিধা মতো কংক্রিটে কবর দেয়। জেরায় উঠে এল এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য। মেয়ের খুনির কঠোরতম সাজা চেয়েছেন আকাঙ্ক্ষার মা-বাবা।
ফেসবুকে পরিচয়-প্রেম-একসঙ্গে পথ চলা শুরু। তার পরেও কেন আকাঙ্ক্ষাকে খুন করল উদয়ন? জেরায় সে সব কথা কবুল করেছে সে... আকাঙ্ক্ষা নিয়মিত এক বন্ধুর সঙ্গে ফোনে কথা বলত, চ্যাট করত। এতে আপত্তি ছিল উদয়নের। এই নিয়ে কথাকাটাকাটিও হত দুজনের। গত ১৪-ই জুলাই সংঘাত চরমে ওঠে। সে রাতটা জেগেই কাটায় উদয়ন। করে ফেলে খুনের ছক। ১৫-ই জুলাই সকালে ঘুমন্ত আকাঙ্ক্ষাকে মুখে বালিশ চেপে শ্বাস রোধ করে উদয়ন। তার পর গলা টিপে মৃত্যু নিশ্চিত করে।
আরও পড়ুন
দুর্ঘটনার পর এক দিন কেটে গেলেও আসানসোল-হাওড়া রুটে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হল না
খুনের পর সাত দিন আকাঙ্ক্ষার দেহ ফ্রিজে রেখে দেয় উদয়ন। জেরায় উদয়ন জানিয়েছে, প্রতিবেশীদের বাইরে বেড়াতে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছিল সে। প্রতিবেশীরা ঘুরতে যেতেই আকাঙ্খার দেহ ট্রাঙ্কে ভরে কংক্রিটের ঢালাই করে দেওয়া হয়। কিন্তু, তাও দুর্গন্ধ চাপা দিতে না পেরে ঢালাইয়ের ওপর বেদি বানিয়ে ফেলে উদয়ন। তার উপর শুরু করে পুজো।
ফেসবুকে মিথ্যার ফাঁদ পেতেছিল উদয়ন। প্রায় ১০০টি ফেক প্রোফাইল ছিল তাঁর। নিজেকে IIT পাস আউট বলে দাবি করে সে। কোথাও আবার নিজেকে দাবি করে আমেরিকার নাগরিক হিসেবে। এমনই এক প্রোফাইলের প্রেমে পড়ে আকাঙ্ক্ষা। আকাঙ্ক্ষার খুনির কঠোরতম শাস্তি চেয়েছে আকাঙ্ক্ষার পরিবার। সোমবার সকালে ৬ দিনে ট্রানজিট রিমান্ডে বাঁকুড়া আনা হচ্ছে উদয়নকে।