ফেসবুক ইস্যু প্রমাণ করল শিব সেনা আছে শিব সেনাতেই

বাল ঠাকরেকে ঘিরে ফেসবুক কাণ্ডে সারা দেশে সমালোচনার ঝড় উঠলেও মু্ম্বই পুলিসের পাশেই দাঁড়াল মহারাষ্ট্র পার্টি। থানে জেলার শিব সেনা প্রধান প্রভাকর রাউলের পর এবার প্রকাশ্যে পুলিসকে সমর্থন করলেন শিব সেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউত।

Updated By: Nov 20, 2012, 09:03 PM IST

বাল ঠাকরেকে ঘিরে ফেসবুক কাণ্ডে সারা দেশে সমালোচনার ঝড় উঠলেও মু্ম্বই পুলিসের পাশেই দাঁড়াল মহারাষ্ট্র পার্টি। থানে জেলার শিব সেনা প্রধান প্রভাকর রাউলের পর এবার প্রকাশ্যে পুলিসকে সমর্থন করলেন শিব সেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউত। তিনি বলেন, "পুলিসের যা করেছে ঠিকই করেছে। আমাদের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। ফেসবুকে এই মন্তব্যের জেরে জটিল আইনি পরিস্থিতি তৈরি হতে পারতো"।
অন্যদিকে আজ শাহিনের কাকা আবদুল ধাদার ক্লিনিকে হামলা চালানোর অপরাধে পুলিস ৯ জনকে গ্রেফতার করার পর মুখ খলেছেন শাহিন। নিজেদের মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন তিনি। মুম্বই পুলিসের বাড়াবাড়ি ও শিব সৈনিকদের তাঁর কাকার ক্লিনিক ভাঙচুরের ঘটনায় ঘাবড়ে গিয়ে নিজেদের ফেসবুক অ্যাকাউন্টও ডিঅ্যাক্টিভট করে দিয়েছেন শাহিন ও রানু। এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শাহিন বলেন, "ফেসবুকে মন্তব্যের জন্য আমি ক্ষমা চাইছি। এই ঘটনায় আমরা সত্যিই ভীত। আমরা আর কোনওদিন ফেসবুকে কিছু লিখবো না। এমনকী, ফেসবুক থেকে মন্তব্য তুলে নেওয়ার জন্য তাঁকে বারবার হুমকি দেওয়া হয় বলেও জানিয়েছেন শাহিন। রাজনৈতিক চাপের মুখে পড়তে হয়েছে তাঁর পরিবারকেও।
শাহিনের কাকা আবদুল ধাদাও বলেছেন, "আমরা প্রয়াত শিব সেনা প্রধানকে শ্রদ্ধা করি। কাউকে কষ্ট দেওয়ার কোনও উদ্দেশ্য আমাদের ছিল না"। তাঁর ক্লিনিকে ঢুকে ভাঙচুর চালানোর বিরুদ্ধে কোনও আইনি পদক্ষেপ নেবেন না বলেও জানিয়েছেন আবদুল। নিজের মনোভাব ব্যক্ত করেছেন শাহিনের বন্ধু রেনুও। "পুরো ব্যাপারটাই একটা দু:স্বপ্নের মতো ছিল"।
গত রবিবার বাল ঠাকরের অন্তিম যাত্রায় স্তব্ধ হয়ে যায় মুম্বই মহানগরী। তার পরেই থানের পালগরের বাসিন্দা ২১ বছরের শাহিন ধাধা ফেসবুকে মন্তব্য করেন, "ঠাকরের মতো ব্যক্তিরা প্রতিদিন পৃথিবীতে জন্ম নেন এবং মারা যান এবং এ নিয়ে বন্‌ধ পালন করা অর্থহীন।" এর পরেই শাহিনের এক আত্মীয়ের অর্থোপেডিক চিকিৎসালয়ে ভাঙচুর চালায় এক দল দুষ্কৃতী। তার ঠিক পরেই শাহিনকে গ্রেফতার হতে হয়। ফেসবুকে তাঁর এই `স্টেটাস` `লাইক` করেন তাঁর বান্ধবী। এই `অপরাধে` ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৯৫-র এ ধারায় ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করার অপরাধে এবং ২০০০ সালের তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৬৪-র এ ধারায় তাঁদের গ্রেফতার করা হয়। যদিও গ্রেফতার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ১৫ হাজার টাকা জামিনের বিনিময় মুক্তি পান দুজনেই।

.