শিবাজি পার্কে দসেরা কার? সম্মুখ সমরে উদ্ধব-শিন্ডে
অজিত পাওয়ার তার মতামত জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘প্রত্যেকেরই অনুমতি চাওয়ার অধিকার রয়েছে। কিন্তু কয়েক বছর ধরে, মহারাষ্ট্রের সমস্ত মানুষ লক্ষ্য করেছে যে শিবসেনা প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকেই সেখানে শিবসেনা প্রধান বালাসাহেব ঠাকরের সভা অনুষ্ঠিত হত। বালাসাহেব ঠাকরে এই শিবাজি পার্ক মাঠেই বলেছিলেন যে এখন থেকে শিবসেনা উদ্ধব ঠাকরের নিয়ন্ত্রণে থাকবে এবং তাঁর নেতৃত্বে চলবে। তবে গত ২০শে জুন থেকে যে রাজনৈতিক ঘটনা ঘটেছে তা সবাই দেখেছে’।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: শিবসেনায় বড় ফাটল দেখা দেয় কিছুদিন আগে। এর জেরে মহারাষ্ট্রে মহা বিকাশ আগাড়ি সরকারের পতন হয়। এই বড় ধরনের বিভক্তির পর রাজ্যে ক্ষমতার পালাবদল হয়েছে। একনাথ শিন্ডে এবং দেবেন্দ্র ফড়নবিশের নেতৃত্বে রাজ্যে নতুন সরকার গঠিত হয়েছে। কিন্তু শিবসেনা দল এখন কার অধীনে? এই প্রশ্নের এখনও কোনও সমাধান পাওয়া যায়নি। শিন্ডে গ্রুপ এবং শিবসেনা উভয়ই দাবি করেছে যে শিবসেনা তাদের। এর পরেই বিতর্ক শুরু হয়েছে যে প্রতি বছর শিবাজি পার্কে যে দশেরার জমায়েত হয় তা কে করবে? এই বিষয়ে উভয় পক্ষই একই দাবি করেছে। মহারাষ্ট্র বিধানসভার বিরোধী দলের নেতা, অজিত পাওয়ার এই বিষয়ে বালাসাহেব ঠাকরের একটি বিবৃতি মনে করিয়ে দিয়েছেন।
শিবসেনাও শিন্দে গোষ্ঠীর কাছে দশেরার সমাবেশের অনুমতি চেয়েছে। এর পাশাপাশি, শিন্দে গোষ্ঠীর সমস্ত বিধায়ক দাবি করছেন যে এই দশেরা সমাবেশ তাদের। যদিও শিবসেনাও একই দাবি করছে। শিবসেনা বিধায়ক আদিত্য ঠাকরেও জানিয়েছেন যে, ‘দশেরা মেলা আমাদের’। এ অবস্থায় পুলিস কাকে অনুমতি দেবে? আর কার দশেরা জমায়েত হবে? এ নিয়ে কৌতূহল চরমে পৌঁছেছে।
এই প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় অজিত পাওয়ার তার মতামত জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘প্রত্যেকেরই অনুমতি চাওয়ার অধিকার রয়েছে। কিন্তু কয়েক বছর ধরে, মহারাষ্ট্রের সমস্ত মানুষ লক্ষ্য করেছে যে শিবসেনা প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকেই সেখানে শিবসেনা প্রধান বালাসাহেব ঠাকরের সভা অনুষ্ঠিত হত। বালাসাহেব ঠাকরে এই শিবাজি পার্ক মাঠেই বলেছিলেন যে এখন থেকে শিবসেনা উদ্ধব ঠাকরের নিয়ন্ত্রণে থাকবে এবং তাঁর নেতৃত্বে চলবে। তবে গত ২০শে জুন থেকে যে রাজনৈতিক ঘটনা ঘটেছে তা সবাই দেখেছে’।
আরও পড়ুন: Lohardaga Love Jihad: ফের লাভ জিহাদের অভিযোগ, নাবালিকাকে খুনের চেষ্টা অভিযুক্তের
কিছুদিন আগে মহারাষ্ট্রের রায়গড়ে ধরা পড়ে একটি অস্ত্রবোঝাই নৌকো। ওমানের ওই নৌকোটি থেকে উদ্ধার হয় একে ৪৭ রাইফেল-সহ বিপুল অস্ত্র। বৃহস্পতিবার ওই সন্দেহজনক নৌকোটি চোখে পড়ে রায়গড় জেলার হরিহরেশ্বর উপকূলে। ওই অস্ত্র উদ্ধারের পর হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে গোটা রায়গড় জেলায়। রায়গড়ের পুলিস সুপার অশোক ধুধে অস্ত্র উদ্ধারের বিষয়টি স্বীকার করেন। হরিহরেশ্বরের যে জায়গায় এই বোটটিকে আটক করা হয় সেটি মুম্বই থেকে ২০০ কিলোমিটার ও পুনে থেকে ১৭০ কিলোমিটার দূরে। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ওই বোটটি অস্ট্রেলিয়ায় তৈরি এবং বোটের আরোহীরা ভারতীয় জলসীমায় ঢুকেপড়ার বিষয়টি উপকূলরক্ষী বাহিনীকে জানায়নি।