নির্দল প্রার্থী হতে কংগ্রেস ছাড়লেন শাকিল আহমেদ
জোটের শর্ত উড়িয়ে দলের কাছে তিনি সমর্থনের আর্জি জানিয়েছেন। কেন কংগ্রেসের উচিত তাঁকে সমর্থন করা, সেটাও জানিয়েছেন শাকিল আহমেদ।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বিহারে কংগ্রেস-আরজেডি জোটে বড় ধাক্কা। যে আসন জোট শরিকের জন্য ছাড়া হয়েছিল, সেই আসনেই প্রার্থী হওয়ার জন্য জেদ ধরে বসলেন কংগ্রেস নেতা শাকিল আহমেদ।
বিহারের ওই আসনটি হল মধুবনী। আসনটি বিহারের ভিআইপি-র জন্য ছাড়া হয়েছে। কিন্তু ওই আসনেই প্রার্থী হবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন গান্ধী পরিবার ঘনিষ্ঠ ওই কংগ্রেস নেতা। তাই তিনি কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর কাছে নিজের পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন। দলের হাইকম্যান্ডকে জানিয়ে দিয়েছেন যে তিনি আর কংগ্রেসের মুখপাত্র থাকছেন না।
আরও পড়ুন: মোদীর বায়োপিক দেখে মুখবন্ধ খামে সিদ্ধান্ত জানান, নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের
সোমবার সন্ধ্যায় শাকিল আনসারি একটি ট্যুইট করেন। ওই ট্যুইটেই তিনি জানান এই তথ্য। একই সঙ্গে সেখানে তিনি ঘোষণা করেছেন যে মধুবনী থেকে তিনি নির্দল প্রার্থী হিসেবে লড়াই করতে চান। আগামিকাল, মঙ্গলবার মনোনয়নপত্রও জমা দেবেন।
As I have decided to file my nomination papers tomorrow from Madhubani Parliamentary Constituency in Bihar, I’m resigning from the post of Senior Spokesperson of AICC. I’m sending my resignation to Congress President Shri @RahulGandhi .
— Shakeel Ahmad (@Ahmad_Shakeel) April 15, 2019
জোটের শর্ত উড়িয়ে দলের কাছে তিনি সমর্থনের আর্জি জানিয়েছেন। কেন কংগ্রেসের উচিত তাঁকে সমর্থন করা, সেটাও জানিয়েছেন শাকিল আহমেদ। উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেছেন বিহারের সুপল লোকসভা কেন্দ্রের কথা।
আরও পড়ুন: যোগী আদিত্যনাথের গোরক্ষপুরে বিজেপির প্রার্থী রবি কিষাণ
ওই কেন্দ্রে কংগ্রেসের প্রার্থী রঞ্জিত রঞ্জন। অথচ সেখানেই আরজেডি-র সমর্থনে প্রার্থী হয়েছেন একজন। ফলে মধুবনীতেও নির্দল প্রার্থীকে কংগ্রেসের সমর্থন করতে কোনও আপত্তি থাকার কথা নয়।
শাকিল আহমেদ মধুবনীর ভূমিপুত্র। তিনি ১৯৯৮ ও ২০০৪ সালে ওই কেন্দ্র থেকে জিতে লোকসভার সাংসদ হয়েছিলেন। ইউপিএ-১ সরকারে তিনি মন্ত্রীও হয়েছিলেন। তবে ২০০৯ সাল থেকে ওই কেন্দ্র বিজেপির দখলে। সেখানে এখন সাংসদ বিজেপির চৌধুরি হুকুম দেও নারায়ণ যাদব।
আরও পড়ুন: বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে আদিত্যনাথ ও মায়াবতীর নির্বাচনী প্রচারে নিষেধাজ্ঞা কমিশনের
এবার অবশ্য বিজেপি তাঁকে প্রার্থী করেনি। বরং প্রার্থী করা হয়েছে হুকুমদেওর ছেলে অশোক যাদবকে। ফলে তাঁর বিরুদ্ধে এখন দ্বিমুখী লড়াই ত্রিমুখী হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। শেষপর্যন্ত এ নিয়ে কংগ্রেস কী পদক্ষেপ নেয় সেটাই দেখার।