টোকিও, হংকং মুখ থুবড়ে পড়তেই সেনসেক্স, নিফটির রেড টার্ন, টাকার দর ফের উর্দ্ধমুখী
টোকিও শেয়ার বাজারে ধস। সকালে সাংহাই ছাড়া এশিয়ার সব সূচকই উপরে ছিল। বেলা পড়তেই হংকং, টোকিও তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে। এর জেরে সেনসেক্স, নিফটিও পড়তে শুরু করেছে।
টোকিও শেয়ার বাজারে ধস। সকালে সাংহাই ছাড়া এশিয়ার সব সূচকই উপরে ছিল। বেলা পড়তেই হংকং, টোকিও তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে। এর জেরে সেনসেক্স, নিফটিও পড়তে শুরু করেছে। সকালে সেনসেক্স ৩০০ পয়েন্ট উপরে উঠলেও বিশ্ব বাজারে প্রভাবে মুখ থুবড়ে পড়ে। নিফটিও ৭৭০০ বেড়া ভেঙে নয়া রেকর্ড করে। ৫ শতাংশ নিচে চিনের শেয়ার বাজার, টোকিও ডাউন ৪০০ পয়েন্ট। এদিকে আবার ডলার প্রতি টাকার দাম পড়তে থাকে। টাকার বিনিময় সূচক সকালে নিচে থাকলেও ফের বাড়তে থাকে। ০.০৬ পয়সা বেড়ে টাকার দাম ফের কমার দিকে। ************************
বিশ্ব শেয়ার বাজারে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। তবে সকালে ভারতের শেয়ার বাজার খুলল গ্রিন সিগনাল দিয়ে। ৩০০ পয়েন্ট উপরে বাজার খোলে সেনসেক্স। অন্যদিকে নিফটিও ৭,৯২৫ উচ্চতায় পৌঁছায়। কিন্তু বেশিক্ষণ ৭৯০০ সীমা ধরে রাখতে পারেনি নিফটি। সোমবার শেয়ার বাজারে নজিরবিহীন পতনের পর আজকে কিছুটা সংশোধন করছে বলে মনে করছেন শেয়ার বিশেষজ্ঞরা। সাংহাই কম্পোজিট সূচক ৪.৩৩ শতাংশ নিচে ছাড়া টোকিও, সিঙ্গাপুর, হংকং, তাইওয়ান শেয়ার বাজার কম-বেশি বেড়েছে। ইউরোপ ও মার্কিন শেয়ার সূচক অনেকটাই নিচে রয়েছে।
কালো সোমবারের রেশ এখনও কাটেনি। তবে প্রাথমিক ধাক্কা সামলে কিছুটা হলেও ঘুরে দাঁড়াচ্ছে এশিয়ার শেয়ার বাজার। সকালে বাজার খুলতেই ছয় শতাংশের বেশি পড়ে যায় সাংহাই স্টক এক্সচেঞ্জ। টোকিও স্টক এক্সচেঞ্চে পতন হয় প্রায় চার দশমিক তিন শতাংশ। তবে ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যেই প্রাথমিক ধাক্কাটা সামলে আপাতত ঊর্ধমুখী দুই শেয়ার সূচকই। চিনা মুদ্রা অবমূল্যায়ণের আশঙ্কায় গতকাল থেকেই বিশ্বজুড়ে শেয়ার বাজারে ধস । অর্থনীতির বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শেয়ারের এই ঊর্ধ্বগতি স্থায়ী নয়। চিনা মুদ্রার অবমূল্যায়ণ সঙ্কট না কাটলে কখনই সাংহাই স্টক এক্সচেঞ্জ ঘুরে দাঁড়াতে পারবে না। আর তার প্রভাব পড়বে বিশ্বের অন্য শেয়ার বাজারগুলিতেও।