হাইকোর্টকে 'পক্ষপাতদুষ্ট' বলায় রাজ্যকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের, নারদে বহাল থাকল সিবিআই তদন্ত

'কলকাতা হাইকোর্ট পক্ষপাতদুষ্ট', এই বক্তব্যের জন্য রাজ্যকে কড়া ভাষায় ভর্ৎসনা করল ভারতের সর্বোচ্চ আদালত। আবারও মুখ পুড়ল রাজ্য সরকারের। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, নিজের বক্তব্যের জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে রাজ্য সরকারকে। (ভিডিও বিকৃত নয়, নারদকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের রায় কলকাতা হাইকোর্টের) 

Updated By: Mar 21, 2017, 04:39 PM IST
হাইকোর্টকে 'পক্ষপাতদুষ্ট' বলায় রাজ্যকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের, নারদে বহাল থাকল সিবিআই তদন্ত

দিল্লি: 'কলকাতা হাইকোর্ট পক্ষপাতদুষ্ট', এই বক্তব্যের জন্য রাজ্যকে কড়া ভাষায় ভর্ৎসনা করল ভারতের সর্বোচ্চ আদালত। আবারও মুখ পুড়ল রাজ্য সরকারের। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, নিজের বক্তব্যের জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে রাজ্য সরকারকে। (ভিডিও বিকৃত নয়, নারদকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের রায় কলকাতা হাইকোর্টের

নারদকাণ্ডে কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের পর সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইঙ্গিত ছিল, 'কলকাতা হাইকোর্টের রায় নিরপেক্ষ নয়'! তিনি প্রশ্ন তুলেছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ কীভাবে জানলেন পাঁচ রাজ্যের ভোটের পরেই নারদকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেবে আদালত? 'নারদকাণ্ডে সিবিআই', এই ইস্যুতে সরাসরি বিজেপিকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। আর এখানেই প্রশ্ন তুলেছে আদালত, কীভাবে রাজ্য সরকার আদালতের রায়ে প্রশ্ন তোলে, বিস্ময় প্রকাশ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। সঙ্গে এও বলেছে মামলা প্রত্যাহার করতে হবে রাজ্য সরকারকে। (নারদ কাণ্ডে কেন CBI তদন্তের নির্দেশ?)  

নারদ ইস্যুতে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা, মন্ত্রী এবং সাংসদের বিরুদ্ধে সিবিআইয়ের হাতেই তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে আজ মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে যায় তৃণমূল কংগ্রেস। তবে সুপ্রিম কোর্ট তা খারিজ করে নারদকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশকেই বহাল রাখে। সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে যে আইনজীবীরা (কপিল সিব্বল এবং অভিষেক মনু সিংভি) কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে নারদ মামলায় সওয়াল করেন, তাঁদের কথা আজ শোনেইনি সুপ্রিম কোর্ট। রাজ্য এবং তৃণমূল নেতাদের আবেদন, এমনকি স্পেশ্যাল লিভ পিটিশনও খারিজ করে দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত। অপর দিকে নারদ তদন্তের সিবিআই রিপোর্ট জমা দেওয়ার সময়সীমা ৭২ ঘণ্টার পরিবর্তে বাড়িয়ে এক মাস করে দেওয়া হল। (আদালতের বাইরে বিতর্কিত রাম মন্দির ইস্যুর নিস্পত্তির পরামর্শ সুপ্রিম কোর্টের)

.