এস এম কৃষ্ণর বিরুদ্ধে তদন্তে স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের

কর্নাটকে অবৈধ আকরিক লোহা খনন মামলায় সোমানাহল্লি মাল্লাইয়া কৃষ্ণকে আপাতত স্বস্তি দিল সুপ্রিম কোর্ট। শুক্রবার বিচারপতি সুরিন্দর সিং নিজ্ঝর, বিচারপতি আলতামাস কবির এবং বিচারপতি জ্ঞানসুধা মিশ্রকে নিয়ে গঠিত শীর্ষ আদালতের বেঞ্চ বিদেশমন্ত্রীর বিরুদ্ধে লৌহ আকরিক কাণ্ডের তদন্ত জারি রাখার লোকায়ুক্ত আদালত ও কর্নাটক হাইকোর্টের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ জারি করেছে।

Updated By: Jan 27, 2012, 09:14 PM IST

কর্নাটকে অবৈধ আকরিক লোহা খনন মামলায় সোমানাহল্লি মাল্লাইয়া কৃষ্ণকে আপাতত স্বস্তি দিল সুপ্রিম কোর্ট। শুক্রবার বিচারপতি সুরিন্দর সিং নিজ্ঝর, বিচারপতি আলতামাস কবির এবং বিচারপতি জ্ঞানসুধা মিশ্রকে নিয়ে গঠিত শীর্ষ আদালতের বেঞ্চ বিদেশমন্ত্রীর বিরুদ্ধে লৌহ আকরিক কাণ্ডের তদন্ত জারি রাখার লোকায়ুক্ত আদালত ও কর্নাটক হাইকোর্টের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ জারি করেছে।
সমাজকর্মী টি জে আব্রাহামের দায়ের করা একটি ব্যক্তিগত অভিযোগের ভিত্তিতে গত ৮ ডিসেম্বর লোকায়ুক্ত আদালতের বিচারক এন কে সুধীন্দ্র রাও-এর নির্দেশে কর্নাটকে অবৈধ খননে দুর্নীতির অভিযোগে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এস এম কৃষ্ণের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে রাজ্যের লোকায়ুক্ত পুলিশ। ১৯৯৯ সালের অক্টোবর থেকে ২০০৪-এর মে মাস পর্যন্ত কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী পদে ছিলেন কৃষ্ণ। অভিযোগ, সে সময় বল্লারি-সহ রাজ্যের কয়েকটি জেলায় অবৈধ খননের বিষয়ে প্রভাবশালী `মাইনিং লবি`-কে সহায়তা করেছিলেন তিনি।

কংগ্রেসেরই আর এক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ধর্ম সিংহ ও জেডি(এস)-এর কুমারস্বামীর বিরুদ্ধেও একই অভিযোগে এফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু করা হয়। ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে তিন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি ফৌজদারী দণ্ডবিধির ১৫৬(৩) ধারায় অভিযুক্ত করা হয় ১১ জন আমলাকেও।
লোকায়ুক্ত আদালতের এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কর্নাটক কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন এস এম কৃষ্ণ। প্রাথমিক ভাবে তাঁর আবেদনে সাড়া দিয়ে লোকায়ুক্ত আদালতের রায়ের উপর স্থগিতাদেশও জারি করে কর্নাটক হাইকোর্ট। কিন্তু গত ২০ জানুয়ারি বিচারপতি এন কে সুধীন্দ্র রাও-এর সেই রায়কেই অনুমোদন করে কর্নাটক হাইকোর্ট। এদিন শীর্ষ আদালতের তিন সদস্যের বেঞ্চও একই ভাবে বিদেশমন্ত্রীর আর্জি গ্রহণ করে তদন্ত স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছে। ৫ রাজ্যের বিধানসভা ভোটপর্ব শুরুর প্রাকমূহূর্তে শীর্ষ আদালতের এই রায়ের ফলে সঙ্গত কারণেই রাজনৈতিক ভাবে কিছুটা স্বস্তি পেল কংগ্রেস।

.