নূপুর তলোয়ারের গ্রেফতারিতে স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের

আরুষি হত্যা মামলায় আপাতত নূপুর তলোয়ারকে আপাতত নিষ্কৃতি দিল শীর্ষ আদালত। গাজিয়াবাদ আদালতের জারি করা জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানার ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন নূপুর তলোয়ার। এদিন এদিন বিচারপতি স্বতন্তর কুমার এবং এ কে পট্টনায়কের বেঞ্চ নূপুরের আইনজীবী মুকুল রোহটাগির আবেদন মেনে তাঁকে গ্রেফতার না করার নির্দেশ দিয়েছে সিবিআই`কে।

Updated By: Apr 13, 2012, 04:22 PM IST

আরুষি হত্যা মামলায় আপাতত নূপুর তলোয়ারকে আপাতত নিষ্কৃতি দিল শীর্ষ আদালত। গাজিয়াবাদ আদালতের জারি করা জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানার ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন নূপুর তলোয়ার। এদিন এদিন বিচারপতি স্বতন্তর কুমার এবং এ কে পট্টনায়কের বেঞ্চ নূপুরের আইনজীবী মুকুল রোহটাগির আবেদন মেনে তাঁকে গ্রেফতার না করার নির্দেশ দিয়েছে সিবিআই`কে। শুধু নিম্ন আদালতের রায়ের উপর স্থগিতাদেশ জারিই নয়, আরুষি হত্যা মামলার শুনানির ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে নূপুর তলোয়ারের অব্যাহতির আবেদনটি বিচারের জন্য সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এস এইচ কাপাডিয়ার কাছে পাঠিয়ে দিয়েছে দুই বিচারপতির বেঞ্চ।
বুধবার আরুষি তলোয়ারের হত্যা মামলায় মা নূপুর তলোয়ারের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে গাজিয়াবাদের বিশেষ আদালত। আগামী ১৮ এপ্রিল এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়। সেদিনই নূপুর তলোয়ারের খোঁজে তার বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই। এর পর বৃহস্পতিবার নূপুর তলোয়ারের তরফে বিচারপতি স্বতন্তর কুমার এবং এ কে পট্টনায়ক`কে নিয়ে গঠিত শীর্ষ আদালতের বেঞ্চে গাজিয়াবাদ আদালতের জারি করা গ্রেফতারি পরোয়ানার উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে আবেদন জানান হয়। কিন্তু দুই বিচারপতির বেঞ্চ আবেদনকারী পক্ষের আর্জি মেনে স্থগিতাদেশ জারি না-করে শুক্রবার শুনানির দিন ধার্য করে।

এর আগে মেয়ে আরুষি ও বাড়ির পরিচারক হেমরাজকে হত্যার অভিযোগের শুনানিতে হাজির থাকার নির্দেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে রিভিউ পিটিশন দাখিল করেন রাজেশ ও নূপুর তলোয়ার। গত ১৪ মার্চ নূপুর তলোয়ারকে ৩০ দিনের মধ্যে আদালতে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেয় সিবিআই আদালত। কিন্তু আদালতের নির্দেশ মেনে শুনানিতে হাজির না হওয়ায় জারি হয় গ্রেফতারি পরোয়ানা। প্রসঙ্গত, ২০০৮-এর মে মাসে নয়ডার একটি ফ্ল্যাটে ১৪ বছরের আরুষির দেহ উদ্ধার করা হয়। তার কয়েক ঘণ্টা পরেই উদ্ধার হয় বাড়ির পরিচারক হেমরাজের দেহ। এই জোড়া খুনের মামলায় আরুষির বাবা রাজেশ তলোয়ার ও নূপুর তলোয়ার জড়িত রয়েছে বলে অভিযোগ করে সিবিআই।

.