সঙ্গতিবিহীন সম্পত্তি, সুপ্রিম কোর্টে নিষ্কৃতি মায়াবতীর
উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মায়াবতীর বিরুদ্ধে আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তির মামলা খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। মামলা রুজু করার সময়েই সিবিআই সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেনি বলে জানিয়ে বিচারপতি পি সতশিবমের নেতৃত্বাধীন শীর্ষ আদালতের বেঞ্চ বলেছে, আদালতের সুনির্দিষ্ট নির্দেশ না থাকা স্বত্বেও মায়াবতীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের সিবিআই-এর ভুল সিদ্ধান্ত ছিল।
উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মায়াবতীর বিরুদ্ধে ৯ বছরের পুরনো আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তির মামলা খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। মামলা রুজু করার সময়েই সিবিআই সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেনি বলে জানিয়ে বিচারপতি পি সতশিবমের নেতৃত্বাধীন শীর্ষ আদালতের বেঞ্চ বলেছে, আদালতের সুনির্দিষ্ট নির্দেশ না থাকা স্বত্বেও মায়াবতীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের সিবিআই-এর ভুল সিদ্ধান্ত ছিল।
তাজ করিডর উন্নয়নে দুর্নীতির তদন্তে, ২০০৩ সালে মায়াবতীর বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছিল সিবিআই। মায়াবতীর বিরুদ্ধে ১৯৯৫-২০০৩ সালের মধ্যে আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তি সংগ্রহের অভিযোগ আনা সিবিআই তদন্তকারী দলের তরফে। সিবিআইয়ের দাবি ছিল, মায়াবতীর বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণে যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে তাদের কাছে। মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন মায়াবতীর সম্পত্তির বহুগুণ বেড়ে যাওয়াকে আদালতের সামনে তুলে ধরে সিবিআই তদন্তকারী দল।
অন্যদিকে সঙ্গতিবিহীন সম্পত্তির মামলার তদন্ত বন্ধ করার দাবি জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিএসপি সুপ্রিমো। তাঁর অভিযোগ ছিল, উপযুক্ত প্রমাণ ছাড়াই এ ব্যাপারে তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। এর আগে এ নিয়ে আয়কর বিভাগের বিশেষ আদালত এবং দিল্লি হাইকোর্টের রায়ও গিয়েছিল মায়াবতীর পক্ষে। আজ সুপ্রিমকোর্টও মায়াবতীর যুক্তি মেনে সিবিআই-এর এফআইআর-কে 'অবাঞ্ছিত' আখ্যা দিয়ে বলেছে, তাজ করিডোর মামলায় আদালতের আদেশ সঠিকভাবে না বুঝেই এক্ষেত্রে এগিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
কারণ, তাজ করিডোরের বাইরে অন্য বিষয়গুলি আদালতের বিচার্য ছিল না। মায়াবতীর ব্যক্তিগত সম্পত্তি নিয়ে তদন্তের কোনও নির্দেশ সিবিআইকে দেওয়া হয়নি। আর তাজ করিডর নিয়ে দু্র্নীতির অভিযোগের মামলাতে সিবিআই মায়াবতীর বিরুদ্ধে কোনও যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ পেশ করতে পারেনি বলে জানিয়ে দিয়েছে শীর্ষ আদালত। এমনকী ২০০৮ সালে সিবিআই-এর পেশ করা স্ট্যাটাস রিপোর্টে মায়াবতীয় আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিবিহীন সম্পত্তি নিয়ে আদালতগ্রাহ্য প্রমাণ মেলেনি বলে রায় দিয়েছে বিচারপতি সতশিবমের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ।
এদিন সুপ্রিম কোর্টের রায়ে স্বস্তিপ্রকাশ করে বহেনজি বলেছেন, দেশের শীর্ষ আদালতের নির্দেশে তিনি খুশী। অন্যদিকে মায়াবতীর আইনজীবী তথা বিএসপি'র সাধারম সম্পাদক সতীশ মিশ্র বলেছেন, তত্কালীন বিজেপি সরকারের চাপে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে এই মামলা দায়ের করেছিল সিবিআই। যদিও বিজেপি নেতা মুখতার আব্বাস নাকভি পত্রপাঠ বিএসপি'র এই অভিযোগ খারিজ করেছেন। অন্যদিকে সমাজবাদী পার্টির তরফে অভিযোগ করা হয়েছে, সিবিআই-এর গাফিলতিতেই দুর্নীতি মামলা থেকে মুক্তি পেলেন মায়াবতী।