মাওবাদী মুক্তি, সুপ্রিম কোর্টের নোটিশ ওড়িশা সরকারকে
মাওবাদীদের হাতে অপহৃত বিজেডি বিধায়ক ঝিনা হিকাকার মুক্তির `শর্ত` নিয়ে এবার সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্নের মুখে পড়ল ওড়িশা সরকার। অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল গাঙ্গুরদীপ বক্সীর আবেদনের প্রেক্ষিতে এদিন মাওবাদীদের দাবি পূরণের বিষয়ে নবীন সরকারকে অবস্থান স্পষ্ট করার নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি টিএস ঠাকুর এবং বিচারপতি জ্ঞানসুধা মিশ্রকে নিয়ে গঠিত শীর্ষ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চ।
মাওবাদীদের হাতে অপহৃত বিজেডি বিধায়ক ঝিনা হিকাকার মুক্তির `শর্ত` নিয়ে এবার সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্নের মুখে পড়ল ওড়িশা সরকার। অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল গাঙ্গুরদীপ বক্সীর আবেদনের প্রেক্ষিতে এদিন মাওবাদীদের দাবি পূরণের বিষয়ে নবীন সরকারকে অবস্থান স্পষ্ট করার নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি টিএস ঠাকুর এবং বিচারপতি জ্ঞানসুধা মিশ্রকে নিয়ে গঠিত শীর্ষ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চ।
সোমবার অপহৃত বিধায়কের মুক্তির বিনিময়ে সিপিআই (মাওবাদী)-র অন্ধ্র-ওড়িশা স্পেশাল জোনাল কমিটি`র দাবি মেনে ২৯ জন জোলবন্দি মাওবাদীকে ছেড়ে দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিল নবীন পট্টনায়ক। ওড়িশা সরকারের মাওবাদীদের মুক্তি দেওয়ার এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বুধবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল গাঙ্গুরদীপ বক্সী।
মাওবাদীদের দেওয়া সময়সীমা শেষ হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে সুপ্রিম কোর্টে জমা দেওয়া হলফনামায় তিনি বলেন, রাজ্য সরকারের মাওবাদীদের মুক্তি দিতে চাইলে শীর্ষ আদালতের তা আটকানো উচিত। কারণ, নিরাপত্তা কর্মীরা নিজেদের জীবন বাজি রেখে তাদের গ্রেফতার করেছে। এই অভিযানে নিহত হয়েছেন অনেক নিরাপত্তাকর্মী। মাওবাদীদের ছেড়ে দেওয়া হলে সেই শহিদদের অপমান করা হবে বলেও অভিযোগ করেন প্রাক্তন এই সেনা আধিকারিক। গতকাল বিকেল ৫টায় মাওবাদীদের অন্ধ্র-ওড়িশা স্পেশাল জোনাল কমিটি`র চরম সময়সীমা উত্তীর্ণ হলেও এখনও পর্যন্ত কোরাপুটের অপহৃত বিধায়কের মুক্তির শর্ত পূরণের ব্যাপারে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি ওড়িশা সরকার। এই পরিস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্টের পাঠানো জবাবদিহির নোটিশ নিশ্চিতভাবেই বিড়ম্বনা বাড়াল নবীন পট্টনায়কের।