হিন্দুত্বের টানাপোড়নে 'চুপ' মেক ইন ইন্ডিয়ার কারিগড় 'মোদী'
সব কা সাথ, সব কা বিকাশ। সত্যিই কী তাই? ২৬ মে একবছর পূর্ণ হবে মোদী সরকারের। এই এক বছরে কেমন আছেন দেশের সংখ্যালঘুরা? মোদী সরকার কী পেরেছে তাঁদের ভরসা দিতে?
ব্যুরো: সব কা সাথ, সব কা বিকাশ। সত্যিই কী তাই? ২৬ মে একবছর পূর্ণ হবে মোদী সরকারের। এই এক বছরে কেমন আছেন দেশের সংখ্যালঘুরা? মোদী সরকার কী পেরেছে তাঁদের ভরসা দিতে?
হিন্দুত্বের ইস্যু আড়ালে রেখে ভোটপ্রচারে তুলে ধরা হয়েছিল উন্নয়নের বার্তা। তাতেই ২০১৪ লোকসভা নির্বাচনে বাজিমাত করেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। বিপুল ভোটে জিতে নজিরবিহীন ভাবে একক গরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসে বিজেপি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ঘিরে তখন আচ্ছে দিনের বিপুল প্রত্যাশা। সেই প্রত্যাশায় সামিল হন সংখ্যালঘুরাও। কিন্তু তারপর...
গত একবছরে প্রাচী সাধ্বী, প্রবীন তোগারিয়া, যোগী আদিত্যনাথের বিতর্কিত মন্তব্য শোনা গেছে বারবার, যা দেশের ধর্মনিরপেক্ষতায় আঘাত করেছে। জটিল করেছে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির পরিবেশ। আর এখানেই তৈরি হয়েছে উদ্বেগ। প্রশ্ন উঠেছে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও। গত একবছরে চার্চের ওপর আক্রমণ, ঘর ওয়াপসি মডেল নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ইউএস রিলিজিয়াস ফ্রিডম প্যানেল । তবে বিজেপির উত্তর ছিল, পুরোটা না বুঝেই মন্তব্য করেছে ইউএস রিলিজিয়াস ফ্রিডম।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় উর্দু বিভাগের অধ্যাপক শাহনওয়াজ নবির মন্তব্য, "মোদীর মডেল ছিল সবার সঙ্গে বিকাশ। ওনার আশেপাশে যখন সবাই তখন তিনি চুপ।
একই মত বিরোধীদেরও।" সিপিআইএম সাংসদ মোহম্মদ সেলিমের কথায়, "মোদী একদিকে ডিজিটাল ইন্ডিয়া, সংঘ পরিবারকে সমর্থন করছ। বোঝা যাচ্ছে উদ্দেশ্য কী।"
উগ্র হিন্দুত্বের ভাবমূর্তি থেকে দূরত্ব বজায় রাখার চেষ্টা করছেন মোদী। কিন্তু কেন্দ্রের শাসক দলের সাসংদেরা যখন তাঁদের মন্তব্যে উস্কে দিয়েছেন সাম্প্রদায়িক বিতর্ক, তখন নীরবই থেকেছেন প্রধানমন্ত্রী। আর এখানেই উঠছে প্রশ্ন, তবে কি মৌনতাই সম্মতির লক্ষণ? সংখ্যালঘুরা কিন্তু তেমনই আশঙ্কা করছেন।